ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্য প্রদানে লুকোচুরি করে ব্যাংকগুলো

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

তথ্য প্রদানে লুকোচুরি করে ব্যাংকগুলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সবসময় লুকোচুরি করে। তারা তথ্য দিতে চায় না। ব্যাংকগুলো ভাবে তথ্য দিলে ইনকাম ট্যাক্সের লোকজন ধরতে পারে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ‘ব্যাংকিং এ্যালমানাক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্যাংকের এই লুকোচুরি খুবই হতাশার। তথ্য প্রদানে তাদের লুকোচুরি না করে বরং সহযোগিতা করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় ও সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রার গবেষণা সেলের উদ্যোগে এই বইটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলোর জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। এজন্য তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় প্রকাশিত বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের তথ্যভান্ডার নিয়ে এ ধরনের উপস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, এখন থেকে এক মলাটে ব্যাংকিং খাতের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে প্রকাশিত এই বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল কাজে আমরা সহযোগিতা করে থাকি। গ্রাহকদের জন্য এই বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রার সম্পাদক আবদার রহমান, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দা জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও মুহাম্মদ এমদাদুল হক। বিদেশে আরও বেশি ডলার পাঠাতে চান আইটি উদ্যোক্তারা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়ার কোম্পানিগুলোর দেশের বাইরে থেকে পণ্য বা সেবা কেনার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর সীমা বাড়নোর সিদ্ধান্তকে মোটা দাগে এ খাতের উদ্যোক্তারা ইতিবাচক মনে করলেও কেউ কেউ এটাকে অপর্যাপ্ত মনে করছেন। সম্প্রতি এই সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার ডলারে উন্নীত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই অর্থ ক্রেডিট কার্ডে বা ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এ খাতের ব্যবসায়ীরা এখন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে ৬ হাজার ডলার এনডোর্স করতে পারবেন, যা আগে আড়াই হাজার ডলার ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জাব্বার ও সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা দুজনই মনে করেন, এর ফলে রফতানিমুখী নয় এমন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম আরও সহজ হবে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ উদ্যোক্তাদের একজন বেসিসের সাবেক সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুরের মতে, দেশে রফতানিমুখী নয় এমন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সক্ষমতা বাড়ায় অনেকেরই বছরে এর প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বিদেশী মুদ্রায় কেনাকাটার প্রয়োজন হয়।
×