ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাতিয়ায় ত্রান পেল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ২২ মে ২০২২

হাতিয়ায় ত্রান পেল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া ॥ নোয়াখালী হাতিয়ায় ত্রান পেল ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ীর মালিকেরা। শনিবার বিকালে ও আজ রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে এই ত্রান পৌছেদেন সহকারী কমিশনার (ভ’মি) বায়েজীদ বিন আখন্দ। এতে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি চিনি, এক কেজি ডাল ও এক লিটার তৈল দেওয়া হয়। নলচিরা ইউনিয়নের তুপানিয়া গ্রামে ১০টি সূখচর ইউনিয়নের দরগা গ্রামে ১০টি পরিবারের মাঝে এই ত্রান সামগ্রী দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প কর্মকর্তা মো: আবু বক্কর ছিদ্দিক, নলচিরা ইউপি চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী, ইউপি সদস্য মো: শরিফ, মো: ইউনুছ ও সূখচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: সালা উদ্দিন। শনিবার সকালে কালবৈশাখী ঝড়ে সূখচর, নলচিরা ও জাহাজমারা ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে ২০ টি ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে নলচিরার তুপানিয়া গ্রামে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখানে কয়েকটি ঘরের চাল ও বেড়া বাতাশে উড়িয়ে নিয়ে যায়। বিশেষ করে বেড়ীর উপরে বসবাস করা তিনটি ঘরের সব কিছু ভেঙ্গে গেছে। ঝড়ে সূখচরের দরগা মসজিদের চাল উড়ে গিয়ে পাশবর্তী দোকান ঘরের উপর পড়লে দোকানটিও ভেঙ্গে যায়। এসময় মসজিদে থাকা এক ব্যাক্তি আহত হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে। এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া এমবি মক্কা মদিনা নামে পাথর বোঝাই বাল্গেটটি আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্রোতের তীব্রতা বেশী থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শনিবার সকালের ঝড়ে বাল্গেটটি নলচিরা ইউনিয়নের পাশে মেঘনায় ডুবে যায়। এর মাঝি মাল্লারা সাঁতরে তীরে উঠে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দ বলেন, ঝড়ে তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চেয়ারম্যানদেরকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
×