ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাস্তির হুঁশিয়ারিতেও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে সাড়া নেই

প্রকাশিত: ২১:৩১, ১৫ মে ২০২২

শাস্তির হুঁশিয়ারিতেও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে সাড়া নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারিতেও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অর্থ ও শেয়ার জমাদানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যায়নি। সিএমএসএফ এর অডিট এ্যান্ড এ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএএমসি) ইস্যুয়ার কোম্পানিদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শনিবার সিএমএসএফ এর চীফ অব অপারেশন (সিওও) মোঃ মনোয়ার হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মার্চ এক অনুষ্ঠানে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এখনও কিছু কোম্পানি থেকে অবণ্টিত লভ্যাংশের হিসাব নেই বলে কমিশনে চিঠি পাঠায়। অনেকেই মাসের পর মাস সময় চেয়েই যাচ্ছেন। তবে ৩১ মার্চের পরে কমিশন কঠোর হবে। এখনও জরিমানা করা শুরু করিনি, তবে শীঘ্রই কমিশন পদক্ষেপ নেবে। আমরা অনেক সময় দিয়েছি এবং অপেক্ষা করেছি। চলতি মাসের পরে আর সময় দেয়া হবে না। অবণ্টিত লভ্যাংশের অপব্যবহারকীরদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেছিলেন, চলতি মাসের মধ্যে যদি ওই লভ্যাংশের হিসাব দিতে না পারে এবং ফান্ড কোথায় রয়েছে বলতে না পারলে ও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর না করলে, কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যা অবণ্টিত লভ্যাংশের থেকে কয়েকগুণ বেশি জরিমানা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে থাকা অবণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার সিএমএসএফে আসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নগদ ৪৬০ কোটি টাকা এবং বর্তমান মার্কেট ভ্যালুতে ৩৩৮ কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার জমা হয়েছে। যা খুবই নগণ্যও এ নিয়ে নিরপেক্ষ অডিট কমিটির এক সভায় কমিটির প্রধান মোঃ আবদুর রউফ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আবদুর রউফ বলেন, কোম্পানিগুলোকে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সিএমএসএফ ফান্ডে অর্থ ও শেয়ার ট্রান্সফার করার সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও অনেকে করেননি। এই অবস্থায় অবণ্টিত অর্থ ও শেয়ার এই ফান্ডে কিভাবে আনা যায়, সে বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে এক হয়ে মনিটরিংসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করা হবে। এতে অডিট কমিটির এ.কে.এম. দেলোয়ার হোসেন এবং সিএমএসএফ বোর্ড সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম.এ. মহি, শাহেদা খানম এবং মুহাম্মদ তাজদিকুল ইসলাম একমত পোষণ করেন। উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘদিনের অবণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে। এই অর্থ একসঙ্গে করে বাজারের উন্নয়নে কাজে লাগাতে বিএসইসি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ নামে বিশেষ এই তহবিল গঠন করেছে।
×