সংবাদদাতা, মধুপুর, টাঙ্গাইল ॥ চার দিকে দিগন্তজোড়া গ্রামীন মাঠ জুড়ে আবাদ হয়েছে ধান। ধানের চারা থেকে বের হয়েছে শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। চারদিকে মৌ মৌ গন্ধের সুবাতাস বইছে।
এবছর চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। সরকারীভাবে প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের। কিছু কিছু কষকেরা ধানের জমিতে আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়তই মাঠে গিয়ে কৃষকদেরকে দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। তবে বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এবছর ধানের বাম্পার বফলনের সম্ভাবনা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকেই সবুজ ধানের আবাদে মাঠ ভরে উঠেছে ধান। কৃষকেরা পোকা দমনে ফসলের ও মানব দেহের ক্ষতিকারক রাসয়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে পাচিং পদ্ধতি শুরু করছে তারা। ফসলের বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা দমনে পোকা খাদক পাখি পাচিংয়ে বসে মাঝে মাঝে লাফিয়ে লাফিয়ে ধরছে আর খাচ্ছে ক্ষতিকর পোকা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম ও মিলন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে আরো বেগবান করতে আমারা উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তারা নিয়মিত ভাবে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ফসলে ক্ষতিকর পোকা দমনে কৃষকদের পাচিং পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাজেদুল ইসলাম বলেন, এবার বোরো ধানের আবাদ এবার খুবই ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৃষক মাঠ দিবসের মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষকদের আরও সচেতন করা হবে। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। যেন কৃষকেরা অধিক লাভাবান হতে পারেন। কৃষকের পাশে আমরা সব সময় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আগামী দিনেও কাজ করে যাব।
