ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাঠ শিল্পে কাজ করে পাঁচ শতাধিক পরিবার স্বাবলম্বী

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১৮ এপ্রিল ২০২২

কাঠ শিল্পে কাজ করে পাঁচ শতাধিক পরিবার স্বাবলম্বী

সংবাদদাতা, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ ॥ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার চরিয়াকোনা এলাকাটি কাঠ শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ। এখানকার প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া প্রায় সহস্রাধিক শ্রমিক এ পেশায় নিয়োজিত থেকে বেকারত্ব ঘুচিয়ে এখন স্বাবলম্বী। পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে হৃদয়ে লালন করে আজো এ শিল্পকে নিয়ে নিত্যনতুন ডিজাইনে কাজ করছেন মিস্ত্রিরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার কাঠ শিল্পের বেশ কদর রয়েছে। কাঠ শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ হওয়ায় চরিয়াকোনা এলাকাটি ‘কাঠের গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পাশেই চরিয়াকোনা এলাকাটির অবস্থান। এখানে ঢুকলেই চোখে পড়বে কাঠ মিস্ত্রিদের কর্মব্যস্ততা। কেউ করাত দিয়ে কাঠ কাটছেন, কেউ হাতুড়ি দিয়ে কাঠে তারকাটা লাগাচ্ছেন, কেউবা রাঁদা দিয়ে কাঠ সমান করছেন। ছেলে-বুড়ো সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকের কাজ করে এখন নিজেই মালিক হয়েছেন। বাজারে প্লাস্টিকজাতীয় ফার্নিচারের প্রভাব থাকলেও এখানকার কাঠ শিল্পের কদর কমেনি, বরং দিন দিনই কদর বাড়ছে পরিবেশ বান্ধব এ শিল্পের। কাঠের কাজ করে বর্তমানে অনেকেই স্বাবলম্বী। আর এ পেশায় নিয়োজিত হয়ে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন অনেকেই। তারা বলেন, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমাদের কাঠ শিল্পের প্রসার দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমাদৃত করা সম্ভব। বিশিষ্ট ফার্নিচার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম শরীফ বলেন, শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই পেশায় আমরা বংশপরম্পরায় জড়িত। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাঠ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সহযোগিতায় প্রশাসন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
×