সিনিয়র শিক্ষক (অব.)
গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা
(ক) শব্দার্থগুলো জেনে নেইঃ
১) রাধুনি Ñ পাচিকা, রন্ধনকারিণী।
২) মালি Ñ বাগানের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি।
৩) প্রত্যাশা Ñ আশা, আকাঙ্খা.
৪) বিলাসিতা Ñ সৌখিনতা।
৫) বহিষ্কার Ñ বর্জন, বাহিরকরণ।
৬। শঙ্কা Ñ ভয়, আশঙ্কা।
৭। নির্দ্বিধায় Ñ স্বেচ্ছায়।
খ) শূন্যস্থান পূরণ কর:
১) ইমদাদ হকের শরীরে অনেক আঘাতের Ñ রয়েছে।
উত্তর : ক্ষত
২) সন্ধ্যাবেলায় পায়ে হাতে Ñ বাঁধে সে।
উত্তর : পট্টি
৩) খেলায় জিতে দর্শকরা Ñ করে ফিরে যাচ্ছে।
উত্তর : মহাকলরব
৪) টেবিলের ওপর Ñ শিশিগুলো রাখা আছে।
উত্তর : মালিশের
৫) Ñ পড়ার শব্দে শিশুটির ঘুম ভেঙ্গে গেল।
উত্তর : বজ্র
(গ) বিপরীত শব্দগুলো জেনে নেইঃ
১) সকাল Ñ সন্ধ্যা
২) বাম Ñ ডান
৩) ভাঙা Ñ জোড়া
৪) ক্ষত Ñ অক্ষত
৫) স্বপ্ন Ñ বাস্তব
৬) কম Ñ বেশি
৭) রাত Ñ দিন
ঘ) যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে বাক্য তৈরি করি:
১) ষ্ট = ষ্্ + ট Ñ সত্য কথা স্পষ্ট করে বলো।
২) ক্ষ = ক্্ + ষ Ñ খেলতে গিয়ে তার শরীরে ক্ষত হয়েছে।
৩) জ্র = জ + ্র (রফলা) Ñ তার কণ্ঠ বজ্র কঠিন।
৪) ন্ধ = ন ্্+ ধ Ñ সন্ধ্যাবেলা বাড়ি যাব।
৫) স্ব = স ্্+ ব Ñ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি।
৬) ঙ্গ = ঙ + গ Ñ নিয়ম ভঙ্গ করা উচিত নয়।
৭) ন্দ = ন ্্+ দ Ñ নববর্ষ বাঙালির আনন্দের দিন।
(ঙ) প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেইঃ
১) প্রভাত বেলায় ফুটবল খেলোয়াড় ইমদাদ হকের বিছানা শূন্য পড়ে আছে কেন?
উত্তর: খুব সকালে ইমদাদ হক খেলতে চলে গেছে বলে তার বিছানা শূন্য পড়ে আছে। ইমদাদ হক একজন ফুটবল খেলোয়াড়। যে করেই হোক খেলায় জয়লাভ করা তার একমাত্র লক্ষ্য। তাই ব্যথার পরোয়া না করেই সে প্র্যাকটিসের জন্য খুব সকালে মাঠে চলে যায়।
২) টেবিলের ওপরে ছোট-বড় মালিশের শিশি কবিকে উপহাস করছে কেন?
উত্তর: ব্যাথাকে পরোয়া না করে ইমদাদ খেলতে চলে যাওয়ায় ছোট-বড় মালিশের শিশিগুলো উপহাস করছে বলে কবির মনে হয়। ইমদাদ হক ফুটবল খেলতে খুব ভালোবাসত। এজন্য সে কোনো বাধাকেই বাধা মনে করত না। একদিন অসুস্থ ইমদাদকে দেখতে গিয়ে কবি জানতে পারেন, অসুস্থ শরীর নিয়েই সে খেলতে চলে গেছে। আর তার ঔষধগুলো টেবিলে পড়ে আছে।
৩) কবিতায় ইমদাদ হকের খেলা ও দর্শকদের আনন্দ নানান অভিমতের বর্ণনা দাও।
উত্তর: ‘ফুটবল খেলোয়াড়’ কবিতায় কবির এক জাত খেলোয়াড় বন্ধুর কথা বলা হয়েছে। ফুটবল খেলা এবং খেলায় জয়লাভ করাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এমনকি খেলার জন্য শরীরের কষ্ট এবং অসুস্থতাকেও সে পরোয়া করে না, তার চেষ্টাতেই তার দল খেলায় জয়লাভ করে। দর্শকরা তার খেলা ভালোবাসে এবং আনন্দ পায়।
৪) খেলতে গিয়ে আঘাতে ইমদাদের অবস্থা কেমন হয় তা ৪টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: খেলতে গিয়ে আঘাতে ইমদাদ হকের হাত-পা ক্ষত-বিক্ষত হয়। তাই সে হাতে পায়ে পট্টি বেঁধে রাখে। ভাঙা হাড়ের ব্যথায় সারারাত ছটফট করে। আঘাতপ্রাপ্ত পায়ে মালিশ করতে করতে মেসের চাকর হয়রান হয়।
৫) ইমদাদ হক সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।
উত্তর: ইমদাদ হক ফুটবল খেলোয়াড়। খেলতে গিয়ে সে অনেকবার আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এতো আঘাতেও সে দমে যায়নি। ব্যাথাকে উপেক্ষা করে খেলার মাঠে তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
(চ) ‘ফুটবল খেলোয়াড়’-কবিতার মুলভাব জেনে নেই।
মূলভাব: জাত খেলোয়াড় ইমদাদ হক । খেলা এবং খেলায় জেতাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। নিজের অবস্থা যেমনই হোক না কেন খেলা পাগল সে, খেলবেই। খেলতে গিয়ে ইমদাদ কত শত আঘাত পায়। তবু সেসব কষ্টকে পরোয়া না করে সে খেলে এবং তার জন্যই খেলায় জিত আসে। তার জন্যই সকল দর্শক খেলার আনন্দ পায়। এই কবিতায় খেলাচ্ছলে একটি আদর্শকে তুলে ধরা হয়েছে। তা হলো, নিজের যোগ্যতার সবটুকু দিয়ে মানুষ যদি একান্তভাবে কিছু করে। তবে অন্য সকলের জন্যও সে বড় কিছু করতে পারে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: