ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

উইসকনসিসে প্যারেডের মধ্যে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়া ব্রুকস দুদিন আগে জামিনে বেরিয়েছিলেন

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ২৩ নভেম্বর ২০২১

উইসকনসিসে প্যারেডের মধ্যে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়া ব্রুকস দুদিন আগে জামিনে বেরিয়েছিলেন

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে ‘ক্রিসমাস প্যারেডের’ মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দিয়ে পাঁচজনকে হত্যা এবং কয়েক ডজন মানুষকে আহত করার অভিযোগে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পারিবারিক নির্যাতনের এক মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার মিলওয়াকির কাছে ওয়াকেশা শহরে ওই ঘটনার আগে সেদিনই আরও একটি সহিংস অপরাধের ঘটনায় ড্যারেল ব্রুকস নামের ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। ওয়াকেশার পুলিশ প্রধান ড্যানিয়েল টমসন বলেছেন,‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ভিড়ের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়ে পাঁচজনকে ‘হত্যার’ অভিযোগ আনা হবে ড্যারেল ব্রুকসের বিরুদ্ধে। তবে এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। রবিবার ওই ঘটনায় নিহত পাঁচজনের বয়স ৫২ থেকে ৮১ বছরের মধ্যে। এছাড়া আরও ৪৮ জন আহত হন গাড়ির ধাক্কায়, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। স্থানীয় ছয়টি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বড়দিনের মৌসুম শুরুর আগে প্রতিবছর থ্যাংকস গিভিং ডের আগের রবিবার ওয়াকেশা শহরে এই ক্রিসমাস প্যারেডের আয়োজন করা হয়, যে রেওয়াজ চলে আসছে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে। স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবা সংস্থার পাশাপাশি নানা বয়সী মানুষ রঙিন পোশাকে নেচেগেয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মেরুন রঙের এসইউভি প্যারেডের ভেতর দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে আর বহু লোক সেটির নিচে চাপা পড়ছে। প্যারেড দেখতে রাস্তার পাশে জড়ো হওয়া মানুষ দৌঁড়ে যাচ্ছে হাতহতদের সাহায্য করতে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এসইউভিটি রাস্তার ব্যারিয়ারে ধাক্কা খেয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গাড়িটি থামানোর চেষ্টায় গুলি করছে। পরে ঘটনাস্থল থেকেই ড্যারেল ব্রুকসকে গ্রেফতার করা হয়। মিলওয়াকি জার্নাল সেন্টিনেল নামের একটি স্থানীয় পত্রিকা জানিয়েছে, ড্যারেল ব্রুকসের বিরুদ্ধে পাঁচটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার একটি মামলায় তিনি দুদিন আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। প্যারেডের আগে রবিবার ছুরি নিয়ে মারামারির এক ঘটনাতেও ব্রুকস জড়িত ছিলেন বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
×