ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইবি শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে সাপের বসবাস

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ২৫ অক্টোবর ২০২১

ইবি শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে সাপের বসবাস

ইবি সংবাদদাতা ॥ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান শান্ত। তিনি হলের ১৩৬ নং কক্ষে অবস্থান করেন। গত ১৯ অক্টোবর বাড়ি থেকে হলে এসে তোশক উল্টিয়েই দেখেন বিষধর সাপ। এরপরের দুইদিন একই কক্ষের আরেক শিক্ষার্থী শাহ পরান বাথরুমে সাপ দেখতে পান। বিষধর সাপ তার দিকে তেড়ে আসতে দেখেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সাপের দেখা মিলছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সকলেই। এছাড়া ক্যাম্পাসে হাটতে বের হওয়া আবসিক শিক্ষক-কর্মকর্তারাও একাধিক বিষধর সাপ দেখার কথা জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও এখনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৯ অক্টোবর ইবির আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় বেড়েছে। প্রতিনিয়তই ক্যাম্পাসের রাস্তা, ওয়াশরুম, বিভিন্ন হল ও একাডেমিক ভবনে গোখরা, পানখ, কালাচ, কেউটেসহ মিলছে নানা বিষধর সাপ। ক্যাম্পাসের চিকিৎসাকেন্দ্রেও সাপ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসে চলাচল অনেকটাই অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। হলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা ও রাতে হাটতে বের হওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তারা বিশালাকৃতির সাপ দেখার কথা জানিয়েছেন। এদিকে সাপে কাটলে ক্যাম্পাস পাশ^বর্তী জেলা কুষ্টিয়াতে চিকিৎসা নেই বলে একটি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। গত ২২ মাসে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৩২ জনের সবাই মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ইবির চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম। লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহ পরান বলেন, ‘অন্যরা হলে এসে পাখির বাসা পাচ্ছে। আর আমরা পাচ্ছি বিষাক্ত সাপ। একের পর এক সাপ দেখে আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। কবে না আবার সাপে ছোবল মারে। অতিদ্রুত হলের আশপাশ পরিষ্কার করাসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘হলের বাথরুমে ও কক্ষগুলোতে কার্বলিক এসিড দিতে বলেছি।’ এক আবাসিক শিক্ষক জানান, ‘রাতে আবাসিক এলাকায় মেঘনা ভবনের সামনে হঠাৎ একটা বড় সাপ দেখতে পাই, যা পুরো রাস্তার প্রস্থের সমান। সেই সাপের আতঙ্ক এখনো আমাকে ভীতসন্ত্রস্ত করে।’ প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার করার জন্য হল প্রভোস্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
×