ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে তিল ধারণের ঠাঁই নেই

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ৩১ জুলাই ২০২১

মাদারীপুরে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে তিল ধারণের ঠাঁই নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পকল কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত মাদারীপুরের শিবচর বাংলাবাজার ফেরিঘাটে শনিবার ভোর থেকে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত দেখা গেছে। মানুষের পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। লকডাউনের কারণে বাংলাবাজার ঘাটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোড চলাচল। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের এখনো ৫দিন বাকী। বন্ধ রয়েছে সব ধরণের গণপরিবহন। হালকা যানে কর্মস্থলে যেতে শ্রমজীবি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি হালকা যানবাহনে ৪/৫ গুণ ভাড়া দিয়ে ঢাকা যেতে বাধ্য হচ্ছে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষ। গণপরিবহন চালু না করে শিল্পকল কারখানা খোলার সিন্ধান্তে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১ আগস্ট) থেকে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার খবরে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় শনিবার ভোর থেকে ভিড় করছেন ঢাকামুখী হাজার হাজার শ্রমিক। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ভেতর ফেরিতে সাধারণ যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছে না যাত্রীদের। জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি ঘাটে আসামাত্র হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের চাপে বাংলাবাজার ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ঘাট এলাকায় বর্তমানে এই নৌপথে ৩টি রো রো ও ৫টি কে-টাইপের ফেরি নিয়ে মোট ৮টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় কর্তব্যরত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য। এদিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে প্রতিটি ফেরির নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে ঘাটে এসে পারের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে যাত্রীরা। এতে তাদের গুণতে হচ্ছে ৪/৫ গুণ বাড়তি ভাড়া। সড়ক মহাসড়কেও দেখা গেছে ঢাকামুখী মানুষের চাপ। কোনো ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না মানুষের যাতায়াত। মহাসড়ক, ফেরিঘাট ও ফেরিতে স্বাস্থবিধি একেবারেই উপেক্ষিত। যে যেভাবে পাড়ছে বাংলাবাজার ঘাটে এসে নামছে। ফেরিতে গায়ে গা লাগিয়ে গাদাগাদি করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। মানুষের পাশাপাশি যানবাহনও রয়েছে অনেক। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি যাতায়াতে দেরি হওয়ায় পরাপারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সকাল থেকে ৮ ফেরি চলাচল করছে।’
×