ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গোপসাগরে মহিসোপানে বাংলাদেশের দাবিতে ভারতের আপত্তি

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ১৮ এপ্রিল ২০২১

বঙ্গোপসাগরে মহিসোপানে বাংলাদেশের দাবিতে ভারতের আপত্তি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বঙ্গোপসাগরের মহিসোপানে বাংলাদেশের দাবির ওপর আপত্তি তুলেছে ভারত। ভারত ছাড়াও আরেক প্রতিবেশী মিয়ানমারও বাংলাদেশের দাবির বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। দুই প্রতিবেশীর বিরোধিতার কারণে মহিসোপানের জটিলতা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার জাতিসংঘের মহিসোপান নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে বাংলাদেশের দাবির বিরোধিতা করে ভারত। তারা বাংলাদেশের দাবি বিবেচনায় না নেয়ার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করে। খবর অনলাইনের। এর আগে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের দাবির প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু ভারতের মতো বাংলাদেশের দাবির প্রতি আপত্তি জানায়নি দেশটি। বাংলাদেশ আইনগতভাবে মহিসোপানের যতটুকু প্রাপ্য সেটি থেকে নিজেদের অংশ দাবি করছে উভয় প্রতিবেশী। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মহিসোপানের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘে আবেদন করে বাংলাদেশ, যাতে গত বছরের অক্টোবর মাসে আবার সংশোধনী আনা হয়। শুক্রবার জাতিসংঘের সিএলসিএস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভারতের আপত্তিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভূখণ্ডের যে বেসলাইনের ওপর ভিত্তি করে মহিসোপান নির্ধারণ করেছে সেটির মাধ্যমে ভারতের মহিসোপানের একটি অংশ দাবি করছে বাংলাদেশ। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে যে ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে সেটির বিষয়ে বাংলাদেশ কোন তথ্য দেয়নি। ’গ্রে এরিয়া’ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে একটি ছোট অংশ যেখানের পানির মধ্যে যে সম্পদ রয়েছেÑ যেমন মাছ, সেটির মালিক ভারত; কিন্তু মাটির নিচে যে খনিজ পদার্থ আছে সেটির মালিক বাংলাদেশ। এই অংশের পরিমাণ প্রায় ৯০০ বর্গকিলোমিটার। এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সমুদ্র সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ নিজ ভূখণ্ডের বেসলাইন নির্ধারণ করেছে এবং এ সম্পর্কিত তথ্য জাতিসংঘে জমা দেয়া হয়েছে। যদি তুলনা করা হয় তবে বাংলাদেশের থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের বেসলাইন অনেক বেশি আগ্রাসী।’ গ্রে এরিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ছোট অংশটি বঙ্গোপসাগরের যে ওয়াটার কলাম তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এরসঙ্গে মহিসোপানের দাবির কোন সম্পর্ক নেই। স্বাভাবিকভাবেই এটি মহিসোপানের দাবি বিবেচনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা উভয় দেশ যে কাগজ জমা দিয়েছি সেটি দেখেছি।’ মিয়ানমারের পর্যবেক্ষণের জবাব আমরা শীঘ্রই জমা দেব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভারত মাত্র তাদের আপত্তি জমা দিয়েছে, আমরা এটি স্টাডি করে এর জবাব প্রস্তুত করব।’
×