ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২৬ মার্চেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত: ২২:০৪, ৮ মার্চ ২০২১

২৬ মার্চেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোন বিতর্ক বা প্রশ্ন নেই, তাই তাদের তালিকা এই স্বাধীনতা দিবসেই প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ বছরই বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারদের সংশোধিত পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের দুটি বাস উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে উদ্বুদ্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এ দুটি বাস চালু করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাস দুটির উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ এ জাদুঘরের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিসংগ্রামের সঠিক তথ্য জানতে পারবে। তিনি বলেন, এই বাসে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য থাকবে। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশেই চলবে এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাদের নিয়ে কোন প্রশ্ন বা বিতর্ক নেই, তাদের তালিকা আমাদের মহান স্বাধীনতার মাস ২৬ মার্চে আমরা প্রকাশ করব। আর যাচাই-বাছাইয়ে যারা টিকে নেই বা মনে করেছেন যে ন্যায়বিচার পাননি, সংক্ষুব্ধ হয়েছেন উনারা আপীল করেছেন, সেই আপীল নিষ্পত্তি হতে একটু সময় লাগবে। ওই নিষ্পত্তিতে যদি কেউ প্রমাণ হন যে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, পরে তারা এ তালিকায় সংযুক্ত হবেন। রাজাকারদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আশা করছি আমরা এ বছরই সুবর্ণজয়ন্তীতে ১৬ ডিসেম্বর রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করতে পারব। আগে এই তালিকা প্রণয়নে আমাদের নৈতিক অধিকার ছিল, আইনগত কোন ভিত্তি ছিল না। ইতোমধ্যে কেবিনেটে জামুকাকে তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়ে আইন সংশোধন হয়েছে। তবে করোনার কারণে সংসদ অধিবেশন কম হওয়ায় তা উত্থাপিত হয়নি। জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের সুপারিশ নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে মোজাম্মেল হক বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। দুই মাস সময় দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা, কীভাবে জড়িত বা সম্পৃক্ততা আছে যারা আত্মস্বীকৃত তাদের তো জবানবন্দী আছেই। আরও কারা আছে সেই রিপোর্ট দেয়ার জন্য কমিটি করেছি। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বসে বিবেচনা করবে। তখন আমরা আমাদের মতামতও জানাতে পারব।
×