ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদাবাজির কারণে পাহাড়ে খাদ্য পরিবহন বন্ধ

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ৫ মার্চ ২০২১

চাঁদাবাজির কারণে পাহাড়ে খাদ্য পরিবহন বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি ॥ খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের মাত্রাতিরিক্ত চাঁদাবাজি ও খাদ্য পরিবহন সংশ্লিষ্টদের হয়রানির প্রতিবাদে দীঘিনালা, পানছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলার খাদ্য গুদামে ঠিকাদাররা খাদ্য শস্য পরিবহন বন্ধ রেখেছে । গত ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে খাদ্য পরিবহন সরবরাহকারী ঠিকাদারগণ এ ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এখনও এর কোন সুরাহ করতে পারেনি। ফলে এসব খাদ্য গুদাম সংশ্লিষ্ট বাঙ্গালী ও পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর রেশন ও বিজিএফ কার্ডধারীরা চলতি মাসে খাদ্যশস্য উত্তোলন নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন। খাদ্য পরিবহন ঠিকাদাররা জানান, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মহালছড়ি, পানছড়ি সড়কে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর নামে বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদার টাকা না পেয়ে গাড়ির কাগজপত্র, চালান ছিনিয়ে নেওয়া সহ নানা হয়রানি করছে চাঁদাবাজরা। এরা পরিবহন শ্রমিকদেরকে মারধর করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা খাদ্য পরিবহন বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে যাচ্ছে। দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করা হয়েছে। দ্রুত অচলাবস্থা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলায় খাদ্য গুদাম রয়েছে ৬ টি। যার প্রত্যেকটিতে প্রতি মাসে চাল ও গমের গড় চাহিদা রয়েছে ৫ শ থেকে ৭ শ মেট্টিক টন। দীঘিনালা সড়কে অচলাবস্থার কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায়ও খাদ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খাদ্য শস্য পরিবহন সমিতি থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য একখনা পত্র পেয়েছেন বলে জানান।
×