অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের উভয় শেয়ারবাজারে বুধবার উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। উত্থানের গতি কম হলেও এটির মাধ্যমে গত কয়েকদিনের টানা পতন কিছুটা হলেও থামল। উভয় শেয়ারবাজারেই বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন এক মাস পর হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সকালে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়তে থাকে। সূচকের ওঠানামার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। ফলে দিনশেষে ডিএসইতে ৯০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। ডিএসইতে বুধবারের লেনদেন এক মাস ৪ দিন বা ২৫ কার্যদিবস পর হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
আগের দিনের পতনে সকালটা শুরু হলেও বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির দর বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭১৪.৭৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৪০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৭৯.৮৮ পয়েন্টে এবং ২১৭৮.৬০ পয়েন্ট। তবে অপর সূচক এবং সিডিএসইটি ২.০৩ পয়েন্ট কমে ১২২৪.০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৮টির বা ৩৬.১৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১২৫টির বা ৩৫.৩১ শতাংশের এবং ১০১টির বা ২৮.৫৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৬.২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৮৮.৭৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৪২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫টির আর ৫৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
