ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে জেএম সেন ভবন নিয়ন্ত্রণে নিল জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত: ০০:০৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

চট্টগ্রামে জেএম সেন ভবন নিয়ন্ত্রণে নিল জেলা প্রশাসন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ‘দখলদারদের’ তাড়িয়ে চট্টগ্রামের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত যাত্রামোহন সেনগুপ্তর বাড়ি (জেএম সেন ভবন) নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঐতিহাসিক ভবনটির সামনের ভেঙ্গে ফেলা অংশে একটি সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) বদিউল আলম ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা শনিবার বিকেলে সেখানে উপস্থিত হয়ে এ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। খবর বিডিনিউজের। জেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রানা দাশগুপ্তসহ বাড়িটি রক্ষার দাবিতে আন্দোলনরতরা। ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা যাত্রামোহন সেনগুপ্ত রহমতগঞ্জে ১৯ গণ্ডা জমির ওপর এই বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। চট্টগ্রামের এই আইনজীবীর ছেলে হলেন দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। ওই জমি পরে ‘শত্রু সম্পত্তি’ ঘোষিত হয়। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে শামসুদ্দিন মোঃ ইছহাক নামে এক ব্যক্তি জমিটি ইজারা নিয়ে সেখানে স্কুল চালিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে গত ৪ জানুয়ারি এম ফরিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ওই জমি যাত্রামোহনের এক স্বজনের কাছ থেকে কেনার দাবি করে আদালতের একটি আদেশ নিয়ে বাড়িটি ভাঙতে যান। সে সময় স্থানীয়দের নিয়ে তার এই তৎপরতা ঠেকিয়ে দেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। ওই দিন বাকলিয়া অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাড়িটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই বাড়ি ভাঙ্গায় এক মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়। জেলা প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রামের আদালতও বাড়ি ভাঙ্গায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িটির দখল নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) বদিউল আলম বলেন, ‘এটি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনা। চট্টগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। কিছু দুষ্কৃতকারী অবৈধ অনুপ্রবেশ করে বাড়িটি ভাংচুর করে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
×