ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্তের জনগণ স্বাবলম্বী হলে হত্যা কমবে

প্রকাশিত: ২২:১০, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

সীমান্তের জনগণ স্বাবলম্বী হলে হত্যা কমবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, সীমান্তের জনগণকে সচেতন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারলে সীমান্ত হত্যা কমবে। রবিবার সকালে বিজিবি দিবস উপলক্ষে ঢাকার পিলখানায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘সীমান্ত গৌরবে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ শীর্ষ বৈঠকে এবং এর আগে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে সকালে বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদর দফতরে বিজিবি মহাপরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় ‘সীমান্ত গৌরব’-এ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম বলেন, এখন কূটনৈতিকভাবে এবং বিজিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়। সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। যাতে কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করেন। সীমান্তের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে বিজিবি ডিজি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সীমান্তবর্তী জনগণকে শিক্ষা দীক্ষায় এবং অর্থনৈতিকভাবে যদি স্বাবলম্বী করা যায়। তাহলেই সীমান্ত হত্যা কমে যাবে। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে- এমন প্রশ্নে সাফিনুল ইসলাম বলেন, পৃথিবী টেকনোলজির দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বাংলাদেশও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজিবিকে সময়োপযোগী করাটা জরুরী। পাহাড়ী এলাকায় এখন কিছু সীমান্ত অরক্ষিত রয়েছে জানিয়ে ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল জানান, এক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) থেকে আরেক বিওপির দূরত্ব ৮ থেকে ১০ কিলোমিটারের মতো। সেখানে নতুন বিওপি স্থাপন করে এই দূরত্ব কমাতে হবে। দূরত্ব কমিয়ে আনা একটা চ্যালেঞ্জ, পাশাপাশি প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেজন্য নতুন নিয়োগ, সবার প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ওপর জোর দেন তিনি। এরপর মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিজিবি দিবস-২০২০ এর বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের সব প্রান্ত থেকে বিজিবি সদস্যরা যুক্ত ছিলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে বিজিবি সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী দিনগুলোতে সরকার কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব আরও দৃঢ় মনোবল নিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে পালন করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
×