ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পূর্ণ বেআইনী শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক ধারা ব্যাহত

বাজারের বাইরে চলছে শেয়ার বেচাকেনা ॥ সিন্ডিকেটের কারসাজি

প্রকাশিত: ২২:৫২, ১৫ নভেম্বর ২০২০

বাজারের বাইরে চলছে শেয়ার বেচাকেনা ॥ সিন্ডিকেটের কারসাজি

অপূর্ব কুমার ॥ বেআইনী হলেও বাজারের বাইরে শেয়ার কেনা-বেচা হচ্ছে। এজন্য ব্যবহার করা হচ্ছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম। চক্রের সদস্যরা যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ করে শেয়ার কেনা-বেচাসহ নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক ধারা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহায়তা চেয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিদ্যমান সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে বাজারের বাইরে শেয়ার কেনা-বেচা সম্ভব নয়। বাজার কারসাজির চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে এই কাজ চালাচ্ছে। এই চক্র সেকেন্ডারি মার্কেটের বাইরের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের আগেই রবি আজিয়াটার শেয়ার বিক্রি করে সব অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। ফেসবুকের মতো মাধ্যমে একশ’র বেশি গ্রুপ খুলে সেখানে রীতিমতো শেয়ার দর নির্ধারণের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে একটি অসাধুচক্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা হাতিয়ে নিয়ে কেটে পড়ে। পরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। এতে বাজারের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়। আর তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর আগেও এ বিষয়ে বিটিআরসির সহায়তা চেয়েছিল বিএসইসি। তখন ডিসিশন মেকার গ্রুপ নামের বড় একটি বড় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এবার ফের দুটি গ্রুপ বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছে বিটিআরসিকে। এই দুই গ্রুপের মাধ্যমেই রবির শেয়ার নিয়ে জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কয়েকটি গ্রুপ বা পেজ থেকে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসলে তা বন্ধ করার জন্য বিটিআরসিকে জানানো হয়েছে। আইপিওয়ের আগেই রবির শেয়ার বিক্রি ॥ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণই শুরু হয়নি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের। লটারিতে শেয়ার বরাদ্দ আরও পরের বিষয়। অথচ তার আগেই ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে শেয়ার কেনা-বেচা হচ্ছে। একটি প্রতারক চক্র এই কাজটি করে লোভী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। চক্রটির নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রামের নাগরিক বদরুদ্দিন আহমেদ। তার সঙ্গে গাজী আনোয়ারসহ একাধিক ব্যক্তি এ কাজে জড়িত রয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। দ্রুত এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসইসি। আগামী ১৭ নবেম্বর শুরু হবে রবি আজিয়াটা কোম্পানির আইপিওর আবেদন। এই কোম্পানিকে ঘিরে গত ৮ নবেম্বর ফেসবুকের ডিএসই ইনভেস্টর ক্লাব নামক পেজে বদরুদ্দিন আহমেদ নামের এই ব্যক্তি পোস্ট করেন রবির ৩ লাখ শেয়ার ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করবেন। শেয়ারগুলো ‘লক ফ্রি’। যাদের প্রয়োজন তাদের তিনি তার ফোন নম্বরে (০১৭০৬৫৫২৯৪৮) বিস্তারিত জানতে বলেন। এরপর থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৬১ বিনিয়োগকারী বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করেন। বদরুদ্দিনের এই পেজ ৭০ ব্যক্তি লাইক দিয়েছেন। ৫ ব্যক্তি শেয়ার দিয়েছেন। শেয়ার কিনতে বদরুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ফেসবুকের পোস্ট দেখে আমি লোকটিকে ফোন দিয়েছি। বদরুদ্দিন আমাকে বলেছেন ১০ টাকা দামের রবির শেয়ার সর্বনিম্ন ২২ টাকায় বিক্রি করবেন। তবে ৫০ হাজার নিলে ২২ টাকায় আর ১ লাখ নিলে ২১ টাকা দরে বিক্রি করবেন। আমি উনাকে বললাম, রবি আইপিওতে আবেদন শুরু ১৭ নবেম্বর। আপনি শেয়ার পেলেন কিভাবে। উত্তরে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে আমাদের একটি প্রতিষ্ঠান ৩ লাখ রবির শেয়ার পেয়েছে। গত ৩ নবেম্বর এই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিডিং হয়েছে। সেখানেই আমরা ৩ লাখ শেয়ার পেয়েছি। এখন ‘লক ফি’ সেই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছি। এই কোম্পানির শেয়ার ১ বছর রাখলে ১২০ টাকা হবে। ১০ গুণ লাভ পাবেন। আর ৬ মাস রাখলে ৬ গুণ লাভ পাবেন গ্যারান্টি দিচ্ছি। এদিকে রবির শেয়ার আইপিওয়ের আগেই বিক্রির সঙ্গে বানকো সিকিউরিটিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামও উঠে আসে। বদরুদ্দিনের মাধ্যমেই সেখানে একটি বিও হিসাব খোলার পর টাকা বুঝে নেয়ার পর শেয়ার দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। মাত্র ১০ টাকার শেয়ার কেন বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, সংখ্যায় বেশি হলেও গ্রামীণফোনের দর ৩৩০ টাকার বেশি হওয়ায় রবির দাম কিছুদিন পরেই ৫০ টাকার বেশি হয়ে যাবে। আর আইপিওতে ৫শ’ বেশি শেয়ার পাওয়া সম্ভব নয়। তাই লক ফ্রি শেয়ার দেয়ার কারণেই বেশি দর নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আইপিওর বুক বিল্ডিং সিস্টেম ছাড়া এলিজেবল ইনভেস্টর কিংবা যোগ অথবা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আলাদা কোন বিডিং হয় না। আইনে নেই। এ বিষয়ে রবি আজিয়াটার জনসংযোগ দফতর থেকে বলা হয়েছে, আমাদের কোম্পানির শেয়ারের তথ্য এখন সিডিবিএলের কাছে রয়েছে। নিয়ম অনুসারে আমাদের কোম্পানির শেয়ার কোন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কিংবা কোন বিনিয়োগকারীদের দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা তা করিনি। আগামী ১৭ নবেম্বর আমাদের কোম্পানির আইপিওর আবেদন শুরু হবে। আইপিওর সাবসক্রিপশনের পর লটারি হবে। লটারিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যু করবে। শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ রবি আজিয়াটার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আইপিওর ব্যয় নির্বাহে ব্যয় করবে। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরে রবি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। বিগত ৫টি নিরীক্ষা আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি লোকসান ১৩ পয়সা। বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারসাজি চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিয়োগ গ্রুপে যুক্ত করে নতুন নতুন সদস্য যোগ করে শেয়ারবাজারে বড় ফান্ড তৈরি করেছে। তাদের কেনা-বেচার আদেশের চাপকেই কারসাজির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফেসবুকের এই চক্রের নানা গুজবের কারণে শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছে। তাদের ইচ্ছেমতো শেয়ারের দরও নির্ধারণ করা হচ্ছে। আবার কোথায় শেয়ার কিনতে হবে আবার কোথায় বিক্রি করতে হবে সেটিও নির্ধারণ করে দিচ্ছেন তারা। এইসব চক্রের শেয়ারবাজারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারে সক্রিয় গ্রুপগুলো ॥ ডিসিশন মেকার গ্রুপ এবং ডিএসই ইনভেস্টর ক্লাব বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনও সক্রিয় বিভিন্ন গ্রুপ। ফেসবুকে সরাসরি গ্রুপগুলো থেকে সদস্যদের শেয়ার কেনা-বেচার আদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এই গ্রুপগুলোর কোন কোনটির সদস্য হতেও নিয়মিত টাকা দিতে হয়। বর্তমানে ফেসবুকে সক্রিয় গ্রুপগুলো হলো : শেয়ার মার্কেট গ্রুপ যার সদস্য সবচেয়ে বেশি ৪২ হাজার ৭০৫জন, এরপরেই ওপেন মার্কেটের সদস্য ৪১ হাজার ৬২২ জন, শেয়ারবাজারের প্রিয় গ্রুপ, শেয়ারবাজারের সবার সদস্য ৩০ হাজার ১৩৭ জন, শেয়ার শেয়ার মার্কেন্ট উন্মুক্ত আলোচনার সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ৮২৭ জন, ভয়েস অব স্টক মার্কেট ২ হাজার ১১০ জন, শেয়ারবাজারের খবর সদস্য ৬৫৫৬ জন, ডিএসই সিএসই ইনভেস্টর ক্লাব সদস্য ৩ হাজার ৯৩ জন, স্টক ডিসকাশান সদস্য ৩ হাজার ৬৯৮ জন, স্টক মার্কেট বিডি ৪ হাজার ২৭১জন, শেয়ার মার্কেট এ্যানালাইসিস ২ হাজার ৬৩৯ জন, শেয়ারবাজার নিউজ কনসোর্টিয়াম সদস্য ৪ হাজার ৬৭০ জন, বাংলাদেশ স্টক ইনভেস্টরস ক্লাব সদস্য ৯ হাজার ৩৭ জন, বাংলাদেশ স্টক বিজনেজ সদস্য ৩ হাজার ২৮০, গেইনার গ্রুপ বিডি সদস্য ১ হাজার ১৯৮ জন, স্টক আপডেট সদস্য ৩ হাজার ৪৪৭ জন, শেয়ারবাজার ডিএসই ইনভেস্টর ক্লাব সদস্য ৮ হাজার ৭১১ জন, শেয়ারবাজারের খবর সদস্য ৮ হাজার ৫৫৭জন, স্টক লার্নিং সদস্য ৪ হাজার ২৩৩ জন এবং সুপার স্টার এডমিনের (প্রফিট মেকার) ৪ হাজার ৫৪ জন সদস্য রয়েছেন। সক্রিয় এই গ্রুপগুলো ছাড়াও বিভিন্ন নামে শতাধিক গ্রুপ থেকে রাত বারোটার পর থেকেই আগামী দিনের শেয়ার লেনদেনের নির্দেশ দেয়া হয়ে থাকে। মূলত নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে শেয়ার কেনা-বেচা ছাড়াও গ্রুপগুলো শেয়ারবাজারে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকে। এইসব গ্রুপও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডিএসই ইনভেস্টর ক্লাব ফেসবুক গ্রুপ থেকে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া শেয়ার মার্কেট ‘প্রফিট গেইনার’ নামে অপর একটি গ্রুপেও বিনিয়োগকারীদের নানা কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার জন্য উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। যা বিনিয়োগকারীদের সঠিক বিনিয়োগের জন্য বিভ্রান্তিতে ফেলছে। এসব বিষয় নজরে আসে কমিশনের। ফলে কমিশন ত্বরিত গতিতে এসব গ্রুপ বা পেজ বন্ধ করতে বিটিআরসিকে জানায়। গ্রুপ বন্ধ হলে বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। যার মাধ্যমে বাজারে আস্থা ধরে রাখা সম্ভব হবে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে বিএসইসি একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার কেনা-বেচার বিষয়ে বিভিন্ন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ, শেয়ারের সম্ভাব্য দর-দাম নিয়ে পূর্বানুমান সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। ওই আদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব ব্যক্তি বিএসইসি, ডিএসই, সিএসইর লোগো ব্যবহার করছে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোন শেয়ারের মূল্য ওঠানামার পূর্বাভাস, অনুমাননির্ভর তথ্য, কোন কোম্পানির অপ্রকাশিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে দ্য সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ অনুযায়ী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর আওতায় আনা হবে। আদেশ জারির আগে ও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়টি গ্রুপ বা পেজ গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে তার একটি তালিকা করেছে বিএসইসি। এই তালিকার বাইরেও রয়েছে শতাধিক গ্রুপ। এইসব গ্রুপ থেকে প্রতিনিয়ত শেয়ার কেনা-বেচার আদেশ দেয়া হয়ে থাকে। যা শেয়ারবাজারকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
×