ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাস বিদ্যুতের আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থায় পর্যবেক্ষণ জরুরী

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

গ্যাস বিদ্যুতের আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থায় পর্যবেক্ষণ জরুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্যাস বিদ্যুতের সঞ্চালন বিতরণ ব্যবস্থায় আধুনিক পর্যবেক্ষণ জরুরী হলেও দেশে তার বালাই নেই। বিদ্যুতে কিছুটা আধুনিকায়ন হলেও গ্যাসে একেবারেই কোন উদ্যোগ নেই। এতে গ্রাহকের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। ঘটছে নারায়ণগঞ্জের মতো বড় ট্র্যাজেডি। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই প্রত্যেক বিতরণ কোম্পানির উচিত গ্রাহককে নিরাপদ রাখতে ব্যবস্থা নেয়া। শনিবার বিকেলে এনার্জি ইউটিলিটি এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত শিরোনামে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনলাইনে সেমিনারটি আয়োজন করে পাক্ষিক এনার্জি এ্যান্ড পাওয়ার। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। ইতিহাসের বড় এই দুর্ঘটনার পর গ্রাহকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থা থাকলে এই ধরনের দুর্ঘটনা আগেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য বজলুর রহমান সেমিনারে বলেন, প্রতিমাসে বিদ্যুতের যে সমন্বয় সভা হয় সেখানে গ্রাহকের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় না। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। এজন্য আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থার প্রবর্তন জরুরী। বিদ্যুত আইন এবং পিডিবির কর্মকা-ের মধ্যে গ্রাহককে সুরক্ষা দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থা কিভাবে গড়ে তোলা যায় বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে জ¦ালনি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি এবং অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করা সুলতানা নাসরিন দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। খন্দকার সালেক সুফি বলেন, আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থায় স্কাডা মনিটরিং জোরদার করা জরুরী, একই সঙ্গে ডিজিটাল ম্যাপিং, জিআইএস মনিটরিং জোরদার করা যায়। বিতরণ লাইনের মধ্যে প্রতি ৮০ কিলোমিটারে এক ধরনের ব্ল্যাকবক্স স্থাপন করে মনিটরিং সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখান তিনি। সুফি বলেন, এ ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থায় প্রতি ৮০ কিলোমিটারকে একটি ব্ল্যাকবক্স দিয়ে মনিটর করা যায়। যাতে করে উভয় পাশের ৪০ কিলোমিটার করে এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব। এখানে অনাকাক্সিক্ষত কিছু ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মোবাইল এ্যাপসে এর নোটিফিকেশন চলে আসে। তিনি বলেন, আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে নিরাপত্তার সঙ্গে অবৈধ ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। সুলতানা নাসরিন বলেন, উন্নত দেশগুলোতে লাইডার নামের এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত আকাশ থেকে কোন একটি নগরকে স্ক্যান করা হয়। উড়োজাহাজ কিংবা ড্রোন এমনকি গাড়ি দিয়েও এই স্ক্যানিং করা সম্ভব। ড্রোন এবং উড়োজাহাজ থেকে স্ক্যানিং করা হলে গাছের পাতার চিত্রও ধারণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে কোথায় পাইপ লাইন এবং বিদ্যুত সরবরাহ লাইন কি অবস্থায় রয়েছে তা দেখা যায়। বাংলাদেশে এখনও লাইডার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেন, এখন ড্রোনে এমন এক ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় যা দিয়ে মিথেন গ্যাস নির্গমন চিহ্নিত করা সম্ভব।
×