ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণের অর্থ ব্যবহারে আরও সতর্ক হতে হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১৬ আগস্ট ২০২০

জনগণের অর্থ ব্যবহারে আরও সতর্ক হতে হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনগণের অর্থ ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, করোনার কারণে আমরা একটু চাপের মধ্যে আছি। আপনারা-আমরা সবাই। তাছাড়া এমনিতেই জনগণের সম্পদ ব্যয়ে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ বিষয়ে জনগণের নজর রয়েছে। জনগণের সম্পদ আমরা কিভাবে ব্যবহার করছি, তা তারা গভীর নজরে রেখেছে। তাই টাকা ব্যবহারে আরও সতর্ক হতে হবে। শনিবার নগরীর আগারগাঁও বিবিএস মিলনায়তনে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আলোচনাসভা ও দোয়ার আয়োজন করে। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, করোনা হোক বা না হোক, জনগণের অর্থ-সম্পদ আমাদের কাছে আমানত হিসেবে আছে। এর ব্যবহারে আপনাদের কী বলব, বলে শেষ করা যাবে না যে, আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা ব্যয় করব, যত ব্যয় তত লাভ। এটা সত্যি। অর্থনীতির শিক্ষাই তাই। কিন্তু ব্যয় হতে হবে প্রকৃত ব্যয়, প্রয়োজনীয় ব্যয়। এদিকে আমি আপনাদের নজর আকর্ষণ করব। আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক, স্বাধীনতার পতাকা সমুজ্জ্বল রেখে, আমরা সবাই এ দায়িত্ব পালন করব। দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করব। তার সঙ্গে যারা সংগ্রামের সময়ে প্রাণ দিয়ে গেছেন, তাদের স্মরণ করব। স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সঠিকভাবে কাজ করে সোনার বাংলা গড়ব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করব। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে এমএ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সরাসরি দুইবার দেখা করেছি। তিনি আমাদের চাকরি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ২-৩ মিনিটের কথা আমার জীবনে বড় অভিজ্ঞতা, যা কখনও ভুলতে পারব না। বঙ্গবন্ধু মানে বিরাট ব্যাপার, তিনি কোটি কোটি মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করা কথা বলা মানে বিশাল ব্যাপার। যখন দেখা করেছিলাম তখন তোফায়েল সাহেব (সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী) ছিলেন। আমার মনে প্রাণে বঙ্গবন্ধু। চিন্তা ও ধ্যান ধারণায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করি। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ ও অনুকরণ করি। বঙ্গবন্ধু কোমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। তারপরও উনাকে দূর থেকে দেখলেই বুক কাঁপত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশকে একটি সংগঠিত, পরিকল্পিত ও ন্যায়ানুগ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি ও তার সতীর্থরা বুঝতে পেরেছিলেন এ দুর্দশার প্রধান কারণ ঔপনিবেশিক শাসনের লুণ্ঠন। সেটি রুখতে হবে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তখনকার বাঙালীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে আমাদের মাটি, পানি আমাদের সব সম্পদ ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই কেবল আমরা অর্থনৈতিক অর্জন করতে পারব। এজন্য স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু ও তার সহযোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করার। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা আকতার ও অন্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে আলোচনা করেন।
×