ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা আক্রান্তে তৃতীয় ভারত

প্রকাশিত: ২১:০৩, ৭ জুলাই ২০২০

করোনা আক্রান্তে তৃতীয় ভারত

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে এবার রাশিয়াকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৬ জনে। আর মারা গেছেন ১৯ হাজার ৭০০ জন। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৫১ জন। আর দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ১০ হাজার ১৬১ জন। টাইমস অব ইন্ডিয়া। রবিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ হাজার ২৮৮ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানানোর পর দেশটিতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৪১৩ জন। শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর নতুন এ সংখ্যা নিয়ে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে সংক্রমিত দেশগুলোর মধ্যে তিনে উঠে আসে। শনাক্ত ছয় লাখ ৮০ হাজার ২৮৩ জন আক্রান্ত নিয়ে চারে নেমে যায় রাশিয়া। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনের মতো দেশগুলোকে ছাড়িয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চতুর্থ স্থানে ছিল ভারত, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে রাশিয়াকেও ছাড়িয়ে গেল। ৩০ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর ভারতে ১১০ দিনে এক লাখ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। মার্চের শেষে ভারতজুড়ে দেয়া কঠোর লকডাউনের কারণে দেশটিতে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত জনসংখ্যা অনুপাতে রোগী মিলছিল সামান্যই। কিন্তু লকডাউন শিথিলের পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়। শনাক্ত রোগী এক থেকে দুই লাখে পৌঁছায় মাত্র ১৫ দিনে। দুই থেকে তিন লাখে ১০ দিনে, তিন থেকে চার লাখে ৮ দিনে, চার থেকে পাঁচ লাখে পৌঁছাতে লাগে ছয় দিন। শেষ এক লাখ যোগ হতে লেগেছে আরও কম সময়, মাত্র ৫ দিন। গত বৃহস্পতিবার ছয় লাখের ঘর পার হওয়ার পর দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এখন সাত লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। আক্রান্তের বিশ্বব্যাপী তালিকায় এখন ভারতের উপরে আছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। সোমবার সাড়ে ১০টা নাগাদ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডের তথ্যানুযায়ী, শনাক্ত ২৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩০ জন আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বের শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ তিন হাজার ৫৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ভারতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
×