নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফলে এমপি ও মেয়র পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সাদা লুঙ্গি ও কালো ফুল হাতার গেঞ্জি পরা ধারালো ছুরি হাতে এক সুদর্শন যুবকের ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তা হলে কি ওই যুবক যুবলীগ নেতা তাপসের ঘাতক ? তাপস ছুরিকাঘাতের শিকার হওয়ার পর ওই যুবককে ছুরি হাতে পুলিশের আশপাশে অনেক্ষন ধরে ঘুরতে দেখা গেছে। তারপর ওই যুবক নিরুদ্দেশ হয়ে হয়ে যান।
ব্যাপক অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ছুরি হাতে ওই যুবকের নাম সাইমুন। ১৬ থেকে ১৮ বছর তার বয়স। বাবারনাম ঝন্টু প্যাদা। তিনি পেশায় একজন অটো গাড়ির চালক ছিলেন। বর্তমানে অসুস্থ্য, বাসায় শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছেন। তার মায়ের নাম নাজমা বেগম।
সাইমুন বাউফল সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণরি ছাত্র। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। ছোট ভাই রাব্বি বয়স ১২ বছর । সে বাউফল মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। বাউফল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াদুদ মিয়া সড়কের পশ্চিম পাশে তার বাড়ি।
ঘটনার দিন ২৪ মে দুপুরে এমপি ও মেয়র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সাইমুন সাদা লুঙ্গি ও কালো ফুল হাতার গেঞ্জি পরে থানা সংলগ্ন ডাকবাংলোর সামনে এসেছিলেন।
এ ঘটনার একদিন পর নিহত যুবলীগ নেতা তাপসের ভাই পঙ্কজ দাস বাদি হয়ে ৩৫ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামী করা হয়। এই মামলায় ছুরি হাতের যুবক সাইমুন তিন নম্বর ও প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি এবিএম মিজানুর রহমানকে ২০ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
সচেতন মহলের অভিমত সাইমুনকে দ্রুত গ্রেফতার করা গেলে প্রকৃত ঘটনা বেড় হয়ে আসবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: