ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ২৪ জনের মৃত্যু

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২৩ মে ২০২০

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একদিনে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে শুক্রবার। আর করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪ জনের মৃত্যু এবং ১৬৯৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩২ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৫৮৮ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৬ হাজার ১৯০ জন। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় শুক্রবার প্রকাশিত নতুন রোগী শনাক্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭২৭টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৪১টি। শুক্রবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মাধ্যে দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন একজন করে। ২৪ জনের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে মারা গেছেন আটজন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২২৫ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬২ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৮ জন। সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি। ডাঃ সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৫৬০ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৯৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ তিন হাজার ১৭১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৪ হাজার ৯২৩ জন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে। বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়। ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীর মৃত্যুহার বেশি ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এ পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৬০ বছরের বেশি ৪২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৭ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৭ শতাংশ, ২১ থেকে ২৯ বছরের ৩ শতাংশ এবং ১০ বছরের নিচে বয়সীরা ২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী রোগীর মধ্যে কেউ মারা যাননি। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি ৪ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৩ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৩ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৪ শতাংশ, ২১ থেকে ২৯ বছরের ২৬ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৪ শতাংশ এবং ১০ বছরের নিচে বয়সীরা ৩ শতাংশ। করোনায় মৃতের হার ৭১ শতাংশ পুরুষ এবং ২৭ শতাংশ নারাী। আর আক্রান্তের হার ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী।
×