ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিমাঞ্চল রেলের সাড়ে ৮শ’ গেটকিপারের বেতন আটকে গেছে

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ১৩ এপ্রিল ২০২০

 পশ্চিমাঞ্চল রেলের সাড়ে ৮শ’ গেটকিপারের বেতন আটকে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অস্থায়ী ৮৫১ জন গেটকিপার ৩ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বকেয়া বেতন কবে মিলবে বলতে পারছেন না কেউই। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে তাদের পরিবারগুলোতে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রকল্প পরিচালক ঢাকায় বদলি হয়ে যাওয়ায় এই জটিলতা হয়েছে। ঝুলে গেছে গেটকিপারদের বেতন। জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলের লেভেল ক্রসিংসমূহের মানোন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গেটকিপার পদে অস্থায়ীভিত্তিতে চাকরি করেন ৮৫১ জন। ২০১৬ সালে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে তারা পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্বে নিয়োজিত। এতদিন প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে তাদের বেতন দেয়া হতো। কিন্তু অন্তত আট মাস আগে রাজশাহী থেকে ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ হিসেবে বদলি হয়ে চলে গেছেন তিনি। এ কারণে তাদের বেতনও বন্ধ। রাজশাহীর গেটকিপার রুহুল আমিন সবুজ জানান, এর আগে ৬ মাসের বেতন-বোনাস বন্ধ ছিল। ঢাকায় গিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরেন গেটকিপাররা। নানা চেষ্টা তদবিরের পর ওই টাকা পান তারা। কিন্তু এবার জানুয়ারি থেকে আবার বেতন বকেয়া পড়েছে। করোনায় সাড়ে ৮শ’ গেটকিপার পরিবারের খরচ যোগাতে পারছেন না। খুব অসহায় জীবনযাপন করছে। গেটকিপাররা ৩ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় নিজের ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের বিভাগীয় এস্টেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামান। তিনি লিখেছেন, ‘নিম্ন আয়ের লোকগুলো সেই জানুয়ারি মাস থেকে ৩-৪ মাস না খেয়ে পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন পার করছেন আমরা কি একটু ভেবে দেখতে পারি না ? আমরা যারা মাস গেলেই নির্ধারিত তারিখে বেতন পাই, তারা এসব দুর্ভাগ্য ফ্যামিলিগুলোর কথা ভাবতে কেন ভুলে যাই ? এ বিষয়ে পশ্চিম অঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আল ফাত্তাহ জানান, ফান্ড ছাড় করা আছে ‘অস্থায়ী গেটকিপার প্রকল্পের’ পিডি ও ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মোস্তাফিজুর রহমান এর অনুকূলে। উনার কথা মতো ই- মেইলে মাস্টার রোলের বিল পেলেই যদি কর্মচারীদের বেতন দেয়া যায়, তাহলে এতদিন অপেক্ষার কি কারণ ছিল, সেটা বোধগম্য নয়। অনেক কর্মচারী ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের কষ্টের কথা প্রকাশ করেছেন’।
×