ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাসে আর্থিক ক্ষতি

বেজিংয়ের বিরুদ্ধে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের মামলা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ১ এপ্রিল ২০২০

বেজিংয়ের বিরুদ্ধে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের মামলা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ইস্যুতে ২০ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে চীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর বর্তমানে চীনে এর দাপট শেষ হয়েছে। কিন্তু ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাস ভয়াবহ প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যার রেশ ধরেই এ মামলা। খবর ওয়েবসাইটের। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সাধারণ নাগরিক ও ব্যবসায়ী গত ১২ মার্চ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট আদালতে এ মামলা করেন। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীন সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণে তারা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বারমান ল’ গ্রুপের এক মুখপাত্র বলেন, আমেরিকাজুড়ে প্রায় একই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও বড় বড় কোম্পানি রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তারা সবাই ক্ষতির শিকার। ওই মুখপাত্র বলেন, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন যে, আমেরিকার সেনারা সম্ভবত চীনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এ কারণেই প্রধানত মামলা করা হয়েছে। একই ধরনের মামলা করা হয়েছে টেক্সাস ও নেভাদার আদালতে। ইচ্ছাকৃতভাবে করোনাভাইরাস তৈরি করে বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে চীন, এমন অভিযোগ নস্যাত করে দিয়েছেন ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং। ‘চাইনিজ ভাইরাস’ বা ‘উহান ভাইরাস’ এই রকম কিছু নামেও ডাকা হচ্ছে ওই ভাইরাসটিকে। এই ধরনের সম্বোধনেও তীব্র আপত্তি জানালেন তিনি। ইচ্ছাকৃতভাবেই চীনের সঙ্গে ওই ভাইরাসের যোগ তৈরি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তার। বেশ ক্ষুব্ধ স্বরেই তিনি বলেন, বিশ্বের উচিত ‘চীনের জনগণকে দোষারোপ’ না করে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে ‘দ্রুত ব্যবস্থা’ নেয়া। এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রীতিমতো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ রেখে চলেছে ভারত ও চীন। সেই বিষয়টি তুলে ধরে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে এবং এই কঠিন সময়ে মহামারী মোকাবেলায় একে অপরকে সমর্থন করছে দুই দেশ। চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ভারতের তরফ থেকে এই সময় চীনকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়েছে এবং দুই দেশই এই সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এর জন্য ভারতের প্রশংসা করি এবং ধন্যবাদ জানাই।’ সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু’র তরফ থেকেও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কেন্দ্রবিন্দু চীন বা সে দেশের উহান প্রদেশ এই কথা ঠিক নয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই চীনা মুখপাত্র বলেন, ‘যে সব লোকেরা চীনের নামকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন তারা বোধ হয় ভুলে যাচ্ছেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং মানবজাতির কল্যাণে বরাবরই চীনের মানুষ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছেন।’
×