ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্ধারিত দিনেই ঢাকা-১০সহ তিন আসনের উপনির্বাচন

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২০ মার্চ ২০২০

নির্ধারিত দিনেই ঢাকা-১০সহ তিন আসনের উপনির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশজুড়ে সতর্কতা চললেও করোনাভাইরাস সংক্রমণকে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি মনে করছে না নির্বাচন কমিশন। তারা বলছে, এটা এখনও মহামারী আকার ধারণ করেনি। তাই আতঙ্ক থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত তারিখেই ঢাকা-১০ আসনসহ দেশের তিন আসনের উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসি সচিব মোঃ আলমগীর বলেন, নির্বাচনে করোনার কোন প্রভাব পড়বে না। করোনার কারণে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম হবে তাই করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা এতে কম হবে। এছাড়া ভোটাররা সবাই হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দেয়ার পর আবারও হাত ধোবেন। এজন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারও রাখা হবে, জানান তিনি। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। বলেন, ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ ও গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচন পূর্ব নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও এবং যশোর-৬ ও বগুড়া-১ দুটি আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঠিক থাকবে কিনা সে ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে সমালোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা শেষে ২১ মার্চ শনিবার নির্বাচন নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই এ নির্বাচন করতে হচ্ছে। ইসি সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, করোনার কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হবে। খুব ভাল পরিবেশে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, করোনার কারণে ভোটার কম হবে এটা ধরেই নেয়া হয়েছে। তাই করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও কম। সচিব বলেন, বৈঠকে কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এ নির্বাচন বন্ধ করলে সুবিধা কী এবং না করলে কী সুবিধা- এসব বিবেচনা করে সব মিলিয়ে ২১ মার্চ নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসের কারণে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ থাকবে। প্রবাসীরা এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারেন এ আশঙ্কায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনআইডি-সংক্রান্ত সেবা বন্ধ থাকবে। ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন যাতে বন্ধ হয় এ ধরনের কোন অনুরোধ প্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। অনেক শ্রম ও টাকাপয়সা খরচ হয়েছে। এখন যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয় তাহলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নতুন করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করলে তাদের অনেক টাকার অপচয় হবে। এসব কথা চিন্তা করে ভোটের দিন না পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া দেশে করোনাভাইরাস এখনও মহামারী আকারে ছড়ানি। তাই ভোট হবে। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনি জয়ী হবেন। ভোটার উপস্থিতি কোন বিষয় নয়। করোনার মধ্যে নির্বাচনের সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করে সুবিধাই বেশি দেখছে কমিশন। তাই ২১ মার্চ নির্বাচন বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। গণপরিবহনে জীবাণুনাশক স্প্রে স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে রাজধানীর চারটি বাস টার্মিনালসহ সকল বাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি। পরিবহন মালিকদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে ইতিবাচক ঘোষণা এলেও মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবতা দেখা যায়নি। কোন বাস পরিষ্কার করা হয়েছে তা বোঝার ওপায় নেই। তেমনি টার্মিনালগুলো আছে আগের মতোই। তাই গণপরিবহন জীবাণুমুক্ত করতে স্প্রে করার উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলা বাসগুলো জীবানুমুক্ত করার ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় সংগঠনের কর্মীদের। যারা ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত তাদেরই দেখা গেছে বিশেষ ধরনের পোশাক পড়ে কাজ করতে।
×