ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাশরিফ

প্রকাশিত: ১২:২৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাশরিফ

একবিংশ শতাব্দীতে বা আধুনিক যুগে যাকে বাংলা সাহিত্যে কলিকালও বলা হয়। বর্তমান বিশ্বের অবস্থা পর্যালোচনা করলে শুধু একটাই প্রশ্ন মনে জাগে, প্রজন্ম কি আদৌ কোন স্বপ্ন দেখে? তারা কি দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে? নাকি স্বপ্নগুলো নিজ স্বার্থ আর প্রযুক্তির খাঁচায় বন্দী। সামাজিক মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড়, অর্থনৈতিক শক্তির অসম প্রতিযোগিতা এবং বঞ্চিত মানুষের জীবন যন্ত্রণা দেখে অনেক তরুণ প্রজন্ম দিন বদলের কথা ভাবে কিন্তু পুঁজিবাদের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা তাদের পিছু ছাড়ে না। তাদের উদারনৈতিক জায়গাগুলো দখল নিতে থাকে বুর্জোয়া সমাজ এবং শ্রেণী বিভাজিত সমাজে হাজার বাঁধা থাকা স্বত্বেও তরুণরা স্বপ্ন দেখে আগামীর। তার ভাবনায় থাকে দেশ, দেশের মানুষ। ঠিক তেমনি এক তরুণ তাশরিফ হক চৌধুরীর জন্ম সুনামগঞ্জ জেলার ভাটিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। তার পিতা মাগফুরুল হক চৌধুরী এবং মাতা সৈয়দা নাসরিন চৌধুরী। তাশরিফ হক চৌধুরীর শিক্ষা জীবন সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাটে। তিনি সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রী অর্জন শেষে বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এর সিলেট শাখার প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কোর সদর দফতরে গত ১৬ জানুয়ারি ‘এ্যাক্ট ইন ফেবার অব মাল্টি কালচারিজম এশিয়া ২০২০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন তাশরিফ হক চৌধুরী। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, চায়না, কোরিয়া এবং এশিয়ার আরও বিভিন্ন দেশ থেকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। আধুনিক বৈশ্বায়নের অগ্রযাত্রায় সার্বিক উন্নয়নে এশিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাশরিক হক চৌধুরীর তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ বহু সংস্কৃতিবাদের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করার জন্য জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সব জায়গা থেকে কর্মী আহরণের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বাংলাদেশে। ইউনেস্কো সম্মেলনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহু সংস্কৃতিবাদের জন্য অনন্য উদাহরণ। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে দেশে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কর্ম আহরণের প্রচেষ্টা চালানো আবশ্যক সাংস্কৃতিক বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি বাংলাদেশ ও এশিয়ায় আমার কাজ চালিয়ে যেতে চাই এবং পাশাপাশি আগামী তিন বছরের জন্য ফ্রান্সভিত্তিক এনজিও কোজেপ ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীতও হয়েছি।
×