ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ১১:০৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত ॥ রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আশির দশকে আমরা বাজারে যাওয়ার সময় সঙ্গে ঝুড়ি নিয়ে যেতাম। এখন সবাই খালি হাতে বাজারে যায় এবং পলিথিনে করে বাজার করে নিয়ে আসে। আমরা সড়িষার তেলের জন্য একটি এবং কেরসিন তেলের জন্য একটি করে শিশি নিয়ে যেতাম। এখন আধুনিকতার নামে খালি হাতে গিয়ে পলিথিনে বাজার করে নিয়ে আসছি। এতে দেশটাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এর পরিণাম ভয়াবহ হবে। এই বিষয়গুলো তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের এগুলো পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে এগুলো পরিহার করে এজন্য তোমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি এ সময় সমাবর্তনে অংশ নেয়া গ্যাজুয়েটদের সামাজিকভাবে পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এ ছাড়াও তিনি ফাস্ট ফুড ও বিভিন্ন ড্রিংস এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে এগুলো বর্জন করারও আহ্বান জানান। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এমিরেটাস অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী। এদিকে বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিদেশী সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষায় দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে স্থানীয় প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে কুয়াকাটা ও কলাপাড়া উপজেলা সফরকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে তার প্রতিক্রিয়ায় এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠন বিদেশী সংস্কৃতির পাশাপাশি খ্যাতিমান শিল্পীদের এনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে আমাদের এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং আমাদের দীর্ঘকালের স্থানীয় সমৃদ্ধ বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালনকে জোরদার করতে হবে।’
×