ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চূড়ান্ত নিয়োগের পরও ডিএসইর এমডি নিয়ে সমালোচনা

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

চূড়ান্ত নিয়োগের পরও ডিএসইর এমডি নিয়ে সমালোচনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নানা জল্পনার পর ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সমালোচনা থামছে না। শুরু থেকে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালকদের সঙ্গে ট্রেকধারী পরিচালকের নানা বিরোধের কারণে নিয়োগ নিয়ে কিছুদিন ধরেই শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অস্বস্তি ছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ কমিশনের পক্ষ থেকে নিয়োগ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এমডি পদে নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। নতুন এমডি এখন যোগদানের পর্যায়ে রয়েছেন। তবে সেখানেই শেষ নয় এখনও ডিএসইতে চলছে তার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে কাঁটাছেঁড়া। সর্বশেষ ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সদস্যদের পুনর্মিলনীতেও আলোচনায় উঠে এসেছে কাজী সানাউল হককে ডিএসইতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি। সদস্যরা এখনও তার নিয়োগকে মেনে নিতে পারছেন না এবং পুনর্মিলনীতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বুধবার ডিবিএর নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে ডিএসইর ক্লাবে পুনর্মিলনী ও বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসাইন। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ডিএসইর পর্ষদ সভায় কাজী সানাউল হককে এমডি করা নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পর্ষদের একটি অংশ সানাউলকে এমডি করার বিরোধিতা করলেও ডিএসইর চেয়ারম্যান আবুল হাশেম বিষয়টি আমলেই নেননি। উল্টো সানাউলের পক্ষ নিয়ে তিনি বিরোধিতাকারীদের মামলা করার পরামর্শ দেন। ডিবিএর এক সদস্য জানান, পুনর্মিলনীতে ডিবিএর সদস্যরা কাজী সানাউল হককে এমডি করার বিষয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরও তাকে নিয়োগ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে দক্ষতার তুলনায় সানাউলকে অস্বাভাবিক বেতন দেয়া হবে বলে সমালোচনা করেন ডিবিএর সদস্যরা। এছাড়া ডিএসইর পর্ষদের বিভক্তির মাধ্যমে সানাউলের নিয়োগ ও তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। উল্লেখ্য, পর্ষদ সভায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন কাজী সানাউল হককে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানান। তবে তিনজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকসহ ৪ জন তার বিষয়ে আপত্তি জানান। আপত্তি জানানো শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এমডি নিয়োগে স্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। ডিএসইর শেয়ারধারী পরিচালক রকিবুর রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালকরা কাজী সানাউল হকের পক্ষ অবস্থান নেন। বিপরীতে শেয়ারধারী পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, শাকিল রিজভী এবং এম শাজাহান তার বিরোধিতা করেন। পরে বেশিরভাগ ভোট সানাউল হকের পক্ষে যাওয়ায় তাকে নিয়োগ কমিটি চূড়ান্ত মনোনীত করেন। ডিএসইর সদস্যরা অভিযোগ করেন, ডিএসইর এমডি নিয়োগের বিষয়ে পর্ষদ সদস্যদের নোটিস করতে হয়। কিন্তু এবার কোন নোটিস করা হয়নি।
×