ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুরো জানুয়ারি শীত থাকবে, তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়বে

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

পুরো জানুয়ারি শীত থাকবে, তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়বে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরো জানুয়ারিই শীত থাকবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আজ তা প্রশমিত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়ছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। এর পর পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে ১৯ জানুয়ারি দেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এর পর ২১ জানুয়ারি থেকে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এর ফলে জানুয়ারির শেষ দশদিন স্বাভাবিক শীত থাকবে। তবে এই সময় শীত তীব্র আকার ধারণ করবে না। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, নওগাঁ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আজ কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। কুয়াশার দাপট থাকবে। আগের মতো বুধবার সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া একই কারণে কাঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া রুটে ১২ ঘণ্টা নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে এই রুটের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকবে। বুধবার দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তেঁতুলিয়ায়। এছাড়া এদিন রাজধানী ঢাকায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪. ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। তবে পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে ১৯ তারিখে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর ২১ জানুয়ারি থেকে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তিনি বলেন, জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এ বছর স্বাভাবিক শীত অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে ২১ জানুয়ারি থেকে আবারও মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে দেশ। ফলে ওই সময়ে শীত আরও বাড়বে। মাদারীপুর ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে লঞ্চ, ফেরি ও স্পীডবোট চলাচল স্বাভাবিক হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। গত ৮/১০ দিন ধরে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীরা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে পুরো পদ্মা নদী কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। কুড়িগ্রাম ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, শীতে কাঁপছে জনপদ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত অবস্থা জেলার কর্মজীবী মানুষের। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে খেটেখাওয়া শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠা-ায় বিশেষ কাজ ছাড়া সকালে বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই। নীলফামারী ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, তিস্তাপারের কনকনে ঠা-ায় আগুন তাপাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেল ৮ বছরের শিশু বৃষ্টি আক্তার। সে নীলফামারীর তিস্তা নদীবিধৌত ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের উকিলপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে ও দক্ষিণ খড়িবাড়ি মুক্তা নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। বুধবার দুপুরে মেয়েটিকে দাফন করা হয়।
×