গোলাপি বাঁধাকপি চাষ করে বাজিমাত যশোরের চাষীর

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভেতরে গোলাপি রং। চারপাশের পাতা সবুজ। সুস্বাদু এই সবজির নাম হলো পিংক ক্যাবেজ। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে পরিচিত গোলাপি রঙের বাঁধাকপি হিসেবে। চলতি মৌসুমে এই কপি প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে। গোলাপি রঙের বাঁধাকপি চাষ করে সাফল্য পাচ্ছে চাষীরা। প্রথমেই বাজিমাত করেছে এ সবজি। আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন তারা। আগামীতে গোলাপি রঙের বাঁধাকপির চাষ বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আমিন উদ্দিন, বাবু, মিন্টু ২ বিঘা, বাগডাঙ্গা মনোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান ১ বিঘা জমিতে গোলাপি রঙের বাঁধাকপির চাষ করেছেন। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, রুবি কিং জাতের পিংক ক্যাবেজ বাঁধাকপি এই এলাকায় প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে। তবে গত মৌসুমে আমিন উদ্দিন পরীক্ষামূলক ৪টি কপি উৎপাদন করে অনেক চাষীর নজর কেড়েছিলেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে এবার প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে গোলাপি রঙের বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। আগামীতে চাষের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, সাধারণ বাঁধাকপির চেয়ে এই কপিতে বেশি দাম পাচ্ছে। আবার ওজনেও বেশি। আমিন উদ্দিন জানান, তার দুই বিঘা বাঁধাকপিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনবারে ১ হাজার পিস কপি বাজারজাত করে দাম পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। ২৫ টাকা দরে প্রতি কেজি কপি বিক্রি করেন। এখনো তার ক্ষেতে আনুমানিক ৯ হাজার পিস পাতা কপি রয়েছে। দাম কম বেশি হলে এখনও তিনি ২ লাখ টাকার কপি বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। গোলাপি রঙের বাঁধাকপি চাষ করে তার মতো অনেক চাষি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। আমিন উদ্দিন আরও জানান, ভারতে বেড়াতে গিয়ে তিনি এই বাঁধাকপির বীজ কিনেছিলেন। এই জাতের বাঁধাকপির চাষ তিনিই প্রথম করেছিলেন। সবজি চাষি মনোয়ার হোসেন, মিন্টু জানান, তারা প্রথমবারের মতো এই বাঁধাকপি চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছেন। নতুন হিসেবে বাজারেও বেশ চাহিদা রয়েছে গোলাপি রঙের বাঁধাকপির। চুড়ামনকাটি, আব্দুলপুর, সাতমাইল বাজারে এই বাঁধাকপির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।