ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তালতলীতে মাদ্রাসার শিক্ষককে মারধর

প্রকাশিত: ১২:০৯, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তালতলীতে মাদ্রাসার শিক্ষককে মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৩ ডিসেম্বর ॥ ঘুষ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা নিজামিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ও কচুপাত্রা ব্রিজ বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ মাসুম বিল্লাহকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নাজিম উদ্দিন হাওলাদার ও তার ছেলে মাসুম হাওলাদার মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ইমাম মাসুম বিল্লাহকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তালতলী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। জানা গেছে, উপজেলার কচুপাত্রা নিজামিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় মাওলানা মোঃ মাসুম বিল্লাহ ২০১২ সালে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেয়। ওই সময় থেকে তিনি মাদ্রাসায় ক্লাস করে আসছেন। সম্প্রতি ওই মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেন। মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির খবর পেয়ে নড়েচড়ে বলে প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নাজিম উদ্দিন হাওলাদার। গত ১৫ দিন ধরে প্রতিষ্ঠাতা নাজিম উদ্দিন হাওলাদার শিক্ষক মাসুম বিল্লাহর কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে আসছে। টাকা না দিলে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দিতে চাপ দেয় প্রতিষ্ঠাতা নাজিম উদ্দিন ও তার লোকজন এমন অভিযোগ শিক্ষক মাসুম বিল্লাহর। কিন্তু টাকা দিতে ও শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতিতে রাজি হয়নি শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রতিষ্ঠাতা ও তার লোকজন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছেলে মাসুম কচুপাত্রা বাজারে এসে শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে জোড় করে শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দিতে চাপ দেয়। ঘুষ টাকা ও অব্যাহতিপত্র না দেয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছেলে মাসুম হাওলাদার শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে মারধর করে। স্থানীয়রা শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনার ইমাম মাসুম বিল্লাহ তালতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। খবর পেয়ে ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইমাম মাসুম বিল্লাহকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা নাজিম উদ্দিন হাওলাদার ও তার ছেলে মাসুম হাওলাদার মারধর করেছে। শিক্ষক ও ইমাম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ২০১২ সালে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নাজিম উদ্দিন হাওলাদার আমাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। ওই সময় থেকে আমি বিনা বেতনে মাদ্রাসায় ক্লাস করে আসছি। বর্তমানে মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠাতা আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে আমাকে শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতিপত্র দিয়ে চলে যেতে চাপ দেন প্রতিষ্ঠাতা। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছেলে মাসুম মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। কচুপাত্রা নিজামিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার বলেন, আমার বাবাকে লাঞ্ছিত করেছে বিধায় আমি হাত ধরে টান দিয়েছি কিন্তু কোন মারধর করিনি।
×