ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দু’হাজার চার শ’ বছরের পুরনো শস্যদানার সন্ধান;###;গবেষণা শুরু অক্সফোর্ডে

প্রত্নগবেষণার নতুন যুগে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:১৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রত্নগবেষণার নতুন যুগে বাংলাদেশ

মোরসালিন মিজান ॥ প্রত্নগবেষণার নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মাটি খুঁড়ে এতকাল শুধু প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান করেছেন গবেষকরা। আবিষ্কার করেছেন রাজা বাদশাহদের ইতিহাস। তবে সম্প্রতি সূচনা হলো নতুন অধ্যায়ের। দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হলো প্রত্নউদ্ভিদ গবেষণা। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধান বা শস্যদানা হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকতে পারে- সাধারণ মানুষ তা হয়ত কল্পনাও করতে পারবেন না। এমনকি দেশের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকেরও এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। অথচ বর্তমানে ‘এক্সিডেন্টালি প্রিজার্ভড’ এসব উপাদান মাটির গভীর থেকে সফলভাবে তুলে এনে ল্যাবে স্থাপন করা হচ্ছে। গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য। প্রাথমিক সাফল্য পথ করে দিয়েছে বড় অর্জনের। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রাচীন ধান ও শস্যদানা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডে। গবেষণার কাজটি করছেন মোঃ মিজানুর রহমান। নতুন গবেষণা থেকে এ অঞ্চলের শত শত বছর আগের চাষাবাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাবে। চাষাবাদের সূত্র ধরে জানা যাবে প্রাচীন জীবন জীবিকা সমাজ সংস্কৃতির চেহারা। একই সঙ্গে গবেষণা তথ্য কাজে লাগিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ জরুরী ইস্যুতে ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতœসম্পদে বরাবরই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে চলছে উৎখননের কাজ। বিভিন্ন স্থান থেকে বড় এবং দৃশ্যমান অনেক প্রতœবস্তু আহরণ করা হচ্ছে। কিন্তু দেশে প্রতœউদ্ভিদ বা আর্কিওবোটানি নিয়ে কোন কাজ এতদিন হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ গবেষণা থেকে চমকপ্রদ ফল পেলেও, পিছিয়ে ছিল কৃষি প্রধান বাংলাদেশ। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গা থেকে প্রতœউদ্ভিদ গবেষণায় মনোযোগী হন মিজানুর রহমান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক তিনি। গবেষণায় প্রাথমিক সাফল্য এবং ভবিষ্যতে দারুণ কিছু আবিষ্কারের ইঙ্গিত থাকায় ডাক পান পৃথিবী বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড থেকে। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছেন তিনি। সেখানে পিএইচডি করছেন। তার বিষয় ‘আর্কিও বোটানিক্যাল পারসপেক্টিভ অব বাংলাদেশ : আর্লি হিস্টোরি পিরিয়ড (ফাইভ হান্ড্রেড বিসি) টু আর্লি মেডিভ্যাল পিরিয়ড (টুয়েলভ হান্ড্রেড এডি) অব বাংলাদেশ।’ অক্সফোর্ডে যাওয়ার আগে পুরো বিষয়টি নিয়ে দুই দফায় এবং পরে ফোনে ও ই-মেইলে একাধিকবার জনকণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেন তরুণ গবেষক। মিজানুর রহমান জানান, ২০০৯ সালে আর্কিওবোটানি নিয়ে প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু করেন তিনি। তখন মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অবসর সময়। প্রতœউদ্ভিদ চর্চায় আগ্রহ থাকায় বিষয়ের উপর লেখা বই পুস্তক সংগ্রহ করতে শুরু করেন তিনি। ইন্টারনেটে খোঁজ খবর নিতে থাকেন। জানতে পারেন, হাজার হাজার বছর আগের পুরনো শস্যদানা মাটির নিচে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকতে পারে! তিন ধরনের কন্ডিশনে প্রতœস্থানে প্রাচীন বীজ সংরক্ষিত হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কোন কারণে পুড়ে যাওয়া শস্যদানা। জলাবব্ধ অবস্থায় আটকে পড়া শস্যদানা এবং ডেসিকেটেড অবস্থায় পরিণত হওয়া কোন শস্যদানা। প্রাচীন দানা অনুসন্ধান এবং সংগ্রহের ব্যাপারে ক্রমে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। এর অংশ হিসেবে মাঠে নেমে পড়েন মাঠে। শিক্ষাগুরু সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে উয়ারী-বটেশ্বরে উৎখনন শুরু করেন তিনি। সেখান থেকেই প্রথম সংগ্রহ করেন মাটির নমুনা। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তখন এসব পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ হয়নি। কাজটি এক রকম বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ২০১১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মিজান। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কাজ করার সুযোগ হয় তার। জানা যায়, নিজেকে গবেষণার জন্য প্রস্তুত করতে মিজানুর রহমান ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ল্যাবরেটরি অব আর্কিওবোটানি এ্যান্ড প্যালিও ইকোলোজিতে প্রাচীন বীজ শনাক্তকরণের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। সেখানে বিশ্বখ্যাত প্রতœউদ্ভিদ বিজ্ঞানী ডোরিয়ান ফুলারের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয় তার। মিজানের প্রশিক্ষক ছিলেন ফুলার। পরে তার সহায়তায় এই ল্যাবরেটরিতে উয়ারী-বটেশ্বর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি। স্ক্যানিং ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে প্রতিটি বীজ এ্যানালাইসিস করেন। সব ধরনের নমুনা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এতে আছে ধান যব বিভিন্ন প্রজাতির ডাল ও কাউনসহ প্রায় ৮০ প্রজাতির উদ্ভিজ্জ বীজের নমুনা। এগুলোই বাংলাদেশের প্রথম প্রাচীন উদ্ভিজ্জ উপাদান বলে জানান মিজানুর রহমান। গবেষক পরে ২০১৪ সালে পুনরায় ইনস্টিটিউট অব আর্কিওলজিতে ফাইটোলিথ প্রসেসিংয়ের উপর এক মাসের ট্রেনিং গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবেশ প্রতœতত্ত্ব বিষয়ে ডিস্টিংশনসহ এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। এমএসসি প্রোগামে তিনি মূলত তিনটি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল প্রতœ উদ্ভিদবিদ্যা, প্রতœ প্রাণীবিদ্যা ও ভূ-প্রতœতত্ত্ব। মিজান জানান, এরপর দেশে ফিরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগারে গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ১৪৮ প্রজাতির বীজ শনাক্ত করা সম্ভব হয়। দেশের ইতিহাসে এটিই আর্কিওবোটানির প্রথম প্রামাণ্য উপাদান বলে জানান গবেষক। যুক্তরাষ্ট্রের বেটা এ্যানালিটিক রেডিও কার্বন ডেটিং ল্যাবরেটরিতেও নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি। গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসে, আবিষ্কৃত শস্যদানার বয়স ২ হাজার ৪০০ বছর থেকে ২ হাজার ৩৫৫ (ক্যালিব্রেটেড) বছর! মিজান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৩টি আর্কিওলজিক্যাল সাইট থেকে শস্যদানা সংগ্রহ করেছেন। দুটি সাইট থেকে পাওয়া শস্যদানা নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা প্রায় শেষ পর্যায়ে। গবেষক জানাচ্ছেন, উয়ারী বটেশ্বরে পাওয়া গেছে প্রাচীন ধানের অস্তিত্ব। জাতটির নাম জাপনিকা। এটি খ্রীস্টপূর্ব চার শ’ থেকে পাঁচ শ’ বছর আগের বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, ধান দুই ধরনের হয়। একটি ওয়াইল্ড। অন্যটি ডমেস্টিকেটেড। ওয়াইল্ড ধান আপনি হয়। কোন ধরনের পরিচর্যা ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। এবং অল্প সময়ের মধ্যে ঝরে যায়। ডমেস্টিকেটেড ধানের বেলায় সেচ নিড়ানিসহ নানা পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। অক্সফোর্ডে যাওয়ার আগে মিরপুরে বেঙ্গল আর্ট আয়োজিত এক সেমিনারে গবেষক দেখান, উয়ারি বটেশ্বরে পাওয়া ধানের ৮৩ ভাগই ডমেস্টিকেটেড। অন্য কোন জায়গা থেকে এ জাতটি বহন করে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ধান রুপণ করা হয়েছিল। এবং এর জন্য সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আরেক প্রতœতাত্ত্বিক স্থান জলঢাকার সতীশের ডাঙা। এখানে পাওয়া নমুনা নিয়েও প্রাথমিক গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। সেমিনারে মিজান জানান, এখানেও পাওয়া গেছে ধানের অস্তিত্ব। বেশি দেখা গেছে ইন্ডিকো জাতের ধান। আরেক ব্যাখ্যায় তিনি এটিকে টাইডাইল রাইস হিসেবে দেখান। বর্তমানে একই বিষয়ের ওপর গবেষণা চলছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে অধিকতর গবেষণার কাজ করছেন মিজানুর রহমান। বাংলার মাটি সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন তিনি। উয়ারি বটেশ্বর, মহাস্থানগর, বিক্রমপুর, নাটোরসহ বিভিন্ন প্রতœস্থান থেকে পাওয়া রাইস রিসার্চের উপাদান তার সঙ্গে রয়েছে। এসব স্যাম্পল নিয়ে এখন ল্যাবরেটরি নির্ভর গবেষণা হবে। প্রাচীন ধান একটি থেকে অন্যটিকে আলাদা করারসহ নানা কাজ হবে। চার বছর ধরে চলবে গবেষণা। অবশ্য এত এগিয়ে গেলেও মিজান নিজে মনে করেন, গবেষণার একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে তিনি। রবিবার ফোনে গবেষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, আমি আসলে এখন বড় কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। অনেক দূর যেতে হবে। যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। এ জন্য বলতে পারেন, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিচ্ছি এখানে (অক্সফোর্ডে)। প্রয়োজনীয় টেকনিক মেথড রপ্ত করছি। এভাবে চমকপ্রদ অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে স্বীকার করলেও তিনি বলেন, একটা পর্যায়ে যাওয়ার আগে সবকিছু প্রকাশ করা যাবে না। তবে প্রতœউদ্ভিদ গবেষণা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, এটাই মূল খবর বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে ঢাকায় এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতœউদ্ভিদ গবেষণার মাধ্যমে আমাদের হাজার হাজার বছর আগের চাষাবাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাবে। প্রাচীন জীবন জীবিকা খাদ্যাভ্যাস সমাজ সংস্কৃতির স্বরূপ আবিষ্কারের সুযোগ হতে পারে। মানুষ কবে থেকে এ অঞ্চলে বাস করছেন, কোথা থেকে এসেছিলেন, ইত্যাদি জানতে পারব আমরা। অতীতের এসব তথ্য ভবিষ্যতের পরিকল্পনা প্রণয়নে দারুণ সহায়তা করবে। গবেষণা তথ্য কাজে লাগিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, ক্লাইমেট চেঞ্জ ইস্যুতে ইতিবাচক অগ্রগতি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অবশ্য গবেষণাটি নিয়ে আজকের জায়গায় পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মিজানকে। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টা নতুন কেউ কেউ এটা বুঝতেই চায়নি। অনেকে মনে করেছেন কিছু দিন পর আমি এমনিতেই থেমে যাব। কিন্তু আমি থামিনি। প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়ার মতো টাকা আমার ছিল না। বাড়ি বানানোর জন্য নেয়া ব্যাংক লোনের টাকা আমি উচ্চশিক্ষায় ব্যয় করেছি। এই সাহসী সিদ্ধান্ত আমাকে পৃথিবী বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার অপার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এটা আমার সাধনার ফসল নয় শুধু বাংলাদেশের অর্জন। গবেষণার পুরোটা দেশের কাজে লাগাতে চান বলে জানান তিনি। এদিকে প্রতœউদ্ভিদ গবেষণায় ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহী করতে ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে প্রতœউদ্ভিদ গবেষণাগার। মিজানের আগ্রহেই দেশের প্রথম এই প্রতœউদ্ভিদবিদ গবেষণাগার বলে জানা যায়। অর্থভাবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় থাকলেও, আধুনিক নমুনার সমৃদ্ধ সংগ্রহ এখানে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতœউদ্ভিদ গবেষণার সূচনা এবং ভবিষ্যত প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে কথা হয় তরুণ গবেষকের শিক্ষক ও খ্যাতিমান প্রতœতাত্ত্বিক সুফি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, আর্কিওবোটানি আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। ডিসিপ্লিনটা মিজানের হাত ধরেই চালু হলো। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, প্রতœখননের মাধ্যমে শুধু রাজা বাদশাদের ইতিহাস জানা যায়। অথচ একই উৎস হতে তখনকার সময়ের প্রকৃতি পরিবেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব। অত্যন্ত জরুরী এসব তথ্য আবিষ্কারে কেউ এতদিন এগিয়ে আসেননি। মিজানের গবেষণা থেকে পরিবেশ সংক্রান্ত একটি ডাটাব্যাংক বাংলাদেশ পেতে পারে বলে মনে করেন সুফি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, হাজার হাজার বছর আগে এ অঞ্চলে কী ধরনের গাছ হতো, পানি কত ছিল, কেমন ছিল, কতবার বন্যা বা খড়া হয়েছে ইত্যাদি তথ্য গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় এসব তথ্য বিশেষ সহায়ক হবে। প্রতœউদ্ভিদ গবেষণা বিষয়ে কথা হয় প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক হান্নান মিয়ার সঙ্গে। বিষয়টির উপর তারও পরিষ্কার ধারণা আছে বলে মনে হয়নি। তবে জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া এই গবেষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে যে কোন সহায়তার প্রয়োজন হলে অধিদফতর পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।
×