খুব স্বল্পমূল্যেই এখন স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসির মতো আধুনিক সব প্রযুক্তি পণ্য পাওয়া যায় বাজারে। তবে খুব বেশি দাম দিয়ে হাই-এ্যান্ড সব স্মার্টফোন কেনা যতটা সহজ, স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন কেনা অতটা সহজ নয়। কেননা স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যেমন বৈচিত্র্য রয়েছে, তেমনি রয়েছে খুব কাছাকাছি কনফিগারেশনের নানা মডেল। স্বল্পমূল্যের বাজেট স্মার্টফোন কিনতে হলে তাই কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার, তা এই লেখায় তুলে ধরা হয়েছে।
হাই-এ্যান্ড স্মার্টফোনের সঙ্গে তুলনা করবেন না
অনেকেই মনে করে থাকেন, হাই-এ্যান্ড সব স্মার্টফোনে এমন খুব বেশি ফিচার থাকে না যে তাদের দাম এতবেশি হবে। কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতায় আবার হাই-এ্যান্ড স্মার্টফোনগুলো পারফর্মেন্সের দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকে। ফলে বাজেট স্মার্টফোনের পারফর্মেন্সে তারা দ্রুতই হতাশ হয়ে যান। মনে রাখতে হবে, এসব স্মার্টফোনকে বাজেট স্মার্টফোন বলা হয় সুনির্দিষ্ট কোন কারণেই। বাজেট স্মার্টফোন কিনতে চাইলে তাই আপনাকে কোন না কোন ফিচারে আপোস করতেই হবে। এটা মাথায় রেখে তবেই ফোন কিনুন।
প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিন
স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন তৈরি করতে গিয়ে ফোন নির্মাতা কোম্পানিকেও বিভিন্ন ফিচারে আপোস করতে হয়। হয়ত বাজেট স্মার্টফোনে ডিসপ্লের আকারটি বড়, কিন্তু তার রেজ্যুলেশন হয়ত ভাল হবে না। আবার ইন্টার্নাল স্টোরেজ বেশি থাকলেও পুরোটা হয়ত ব্যবহারের উপযোগী হবে না। আবার হয়ত দেখা যাবে ব্লুটুথ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা সর্বশেষ সংস্করণের নয়; কিংবা থ্রিজি হয়ত সমর্থন করবে, কিন্তু ওয়াই-ফাই থাকবে না। কাজেই স্মার্টফোনের নানা ধরনের ফিচারের মধ্যে ঠিক কোনগুলো আপনার প্রয়োজন, সেগুলো ঠিকঠাকমতো রয়েছে কি-না তা ভালভাবে দেখে নিন।
হার্ডওয়্যারে নজর রাখুন
বাজারে স্মার্টফোন কেনার সময় হার্ডওয়্যারের দিকেই বেশি নজর দেয়া উচিত। হার্ডওয়্যার শক্তিশালী হলে তা পারফর্মেন্সের দিক থেকে এগিয়ে রাখবে ফোনকে। এক্ষেত্রে শুরুতেই প্রসেসর এবং র্যামের পরিমাণটি দেখে নিন। ভাল প্রসেসর আর বেশি পরিমাণ র্যাম থাকলে অনেক ফিচারকেই অগ্রাহ্য করতে পারেন। এই দুইটি যন্ত্রাংশের পর বাড়তি স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধা, ডিসপ্লের আকার ও রেজ্যুলেশন, সংযোগ এবং ব্যাটারির দিকে মনোযোগী হোন।
কাজের জন্য স্মার্টফোন কিনলে অযথা হালকা-পাতলা বা স্টাইলিস্ট ফোনের দিকে নজর না দিলেই ভাল।
আইটি ডেস্ক
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: