ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাত শিশুসহ দশজনের মৃত্যু, উদ্ধার ২১

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সাত শিশুসহ দশজনের মৃত্যু, উদ্ধার ২১

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ২৫ সেপ্টেম্বর ॥ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবির ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতরাতে ৪ জন উদ্ধারের পর বুধবার ভোর থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযানে আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২১ জনকে। নৌকাটিতে ৩১ যাত্রী ছিল বলে স্থানীয় প্রশাসন ও হতাহতের পরিবার নিশ্চিত করেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে যারা প্রাণ হারিয়েছে তারা হলো দিরাই উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের জাসদের মেয়ে শান্তা মনি (৩), আরজ আলীর স্ত্রী রহিতুন্নেছা (৩৫) আফজাল হোসেনের ছেলে আসাদ(৫) এবং স্ত্রী আজিরুন নেছা(৩০), পেরুয়া গ্রামের নসীবুল্লার স্ত্রী করিমা বিবি (৭৮), মাছিমপুর গ্রামের বাবুলের শিশুপুত্র শামীম (২), বদরুলের শিশুপুত্র আবির(৩), পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর শিশুপুত্র আজম(২), ও নোয়াগ্রামের আফজাল হোসেনের শিশুপুত্র সোহান(৩), ইয়সমিন আকতার (১১)। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রাম থেকে চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে যাচ্ছিল। নৌকায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩১ জন যাত্রী ছিলেন। পথে কালিয়াকুটা হাওরে নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে মাছিমপুরের কাছাকাছি এসে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রাতে ও ভোরে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে। রফিনগর ইউপির চেয়ারম্যান রেজওয়ান খান জানান, নৌকাটিতে ৩১ জন যাত্রী ছিলেন। রাতে শিশু শামীম, আবির, সোহান ও শহীদুলের লাশ গ্রামবাসী উদ্ধার করা হয়েছিল। ভোরে পুলিশসহ পুরো এলাকাবাসী ৫০-৬০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে বাকি ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেন। দিরাই থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি, হাওরে ঢেউ, এরমধ্যেই পুলিশ গ্রামবাসীকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। জীবিত এবং মৃত্যু সকল যাত্রী উদ্ধার হওয়ায় অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।
×