ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধুত্বের উদ্যাপনে যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৩০ আগস্ট ২০১৯

বন্ধুত্বের উদ্যাপনে যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্প-শিক্ষার সূত্র ধরেই গড়ে ওঠে তাদের বন্ধুত্ব। শিল্পিত সেই পথরেখায় তারা পরস্পরের অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়। পরিচিত হয়ে ওঠে একে অন্যের শৈল্পিক প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে। প্রত্যেকেই শিল্পের পাঠটি গ্রহণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। পড়াশোনার পর্ব শেষে সবাই প্রবেশ করেন যার যার কর্মজগতে। তবে শিল্প সফরের মাঝেই টিকে থাকে তাদের সুদৃঢ় বন্ধনটি। প্রতিবছরই সবাই মিলে নিজস্ব শিল্পকর্মের সম্মিলনে মিলিত হন এক ছাতার নিচে। সেই ¯্রােতধারায় চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে নয় বন্ধুর যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। বন্ধুত্বের উদ্্যাপনে আলিয়ঁস ফ্রঁসেস দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীটির শিরোনাম ‘কালারস’। চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্যে সজ্জিত প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী নয় শিল্পী হলেন শায়লা আখতার, রিফাত জাহান, রেহেনা ইয়াসমিন, রেবেকা সুলতানা, মনিরা সুলতানা, মুক্তি ভৌমিক, মণিদীপা, ফারজানা ইসলাম ও ফারহানা আফরোজ। ফারহানা আফরোজের শিল্পকর্মের বিষয় দৈনন্দিন জীবনাচরণের পোড় খাওয়া অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, যা তার চেতনার গভীরে রেখে গেছে চিরস্থায়ী দাগ। ফারজানা ইসলামের ভাস্কর্যগুলো মেলে ধরেছে তার চারপাশের মানুষগুলোর জীবন, পুরনো দরদালান আর প্রকৃতি। মণিদীপা দাশগুপ্ত, যার অনুসন্ধিৎসা শহুরে জীবনের অভিজ্ঞতাকে তার শিল্পের মধ্য দিয়ে নতুন আবিষ্কার ও ধরনে পুনরুজ্জীবিত করে। মুক্তি ভৌমিকের শিল্পচর্চা তার শৈশবের স্মৃতিতাড়িত ও প্রকৃতির চেতনায় রাঙানো। মনিরা সুলতানার ভালবাসা হলো প্রকৃতি। তার টেরাকোটায় প্রতিবিম্বিত হয় সংলগ্ন প্রকৃতি। বিভিন্ন রঙ আর নক্সার মধ্য দিয়ে রমণী আর নিসর্গের উপস্থাপনায় উজ্জ্বল রেবেকা সুলতানার শিল্পকর্ম। সময়ের বাস্তবতা, সংগ্রাম, কলঙ্ক আর ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যাওয়া জীবনের স্পর্শাতীত সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন রেহেনা ইয়াসমিন। নারীত্বের আবেগানুভূতি ও উদ্যমকে প্রতিভাসিত করার যে শক্তি ফ্রিদা কাহলোর (বিখ্যাত মেহিকান চিত্রশিল্পী) চিত্রশিল্পে প্রতীয়মান, সেই শক্তিই রিফাত জাহানকে গভীরভাবে স্পর্শ করে আর তাইই হয়ে ওঠে তার ছবি আঁকার বিষয়। শায়লা আখতারের ছবির নতুন গুচ্ছমালা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীমুক্তি সম্পর্কে সাময়িকভাবে হলেও ভাবতে বাধ্য করবে। ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ৪৫টি শিল্পকর্মে সাজানো প্রদর্শনীটি শেষ হবে কাল শনিবার। শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান ॥ এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। ‘বঙ্গবন্ধু বিষয়ক কই প্রদর্শনী ও পাঠ’ শীর্ষক এ আয়োজনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সমাপনী দিনে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে প্রথম হয়েছেন বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র আবরার মাহমুদ হাসান। যৌথভাবে দ্বিতীয় হওয়া তিন শিক্ষার্থী হচ্ছে আজিমপুর গবর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আফিয়া ফারজানা, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র নাফিস রাইয়ান মৃধা শ্রেষ্ঠ ও বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র রাইয়ান তৌসিফুর রহমান। তৃতীয় হয়েছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মাসিয়া মৃত্তিকা হাবিব হিমি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় প্লাজা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও অনষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। স্বাগত বক্তব্য গ্রন্থকেন্দ্রের উপ-পরিচালক সুহিতা সুলতানা। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর একুশ বছর স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস গোপন রাখা হয়েছিল। মিথ্যা তথা বিকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ফলে সে সময়ের ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের সামনে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস উন্মোচিত হয়। নতুন প্রজন্ম এখন সৌভাগ্যবান যে তারা স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে পারছে। এ প্রতিযোগতিায় অংশ নেয়া প্রতিযোগীদের মাঝ থেকে বিশেষ পুরস্কারজয়ীরা হলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের তাওসিফ আমিন হৃদয়, মোঃ কাহরিয়ার তানভীর রিফাত, নাঈম আব্দুল্লাহ, মিহাদ মিয়াজী, হাসান আরিফিন, মৃত্তিকা অনন্যা নূর, তাজরিহান রসূল, আলিফ, বিনতে অবনী, সানজিদা আলম আশা। নারায়ণগঞ্জ হাই স্কল এন্ড কলেজের শ্রীজয়া সাহা, পূজা সাহা, সনৎ রায়, ইডেন রায়, অভিষেক সাহা, পিউ পোদ্দার, অথৈ ঘোষ ভূমি, নওশিন আহমেদ রোজা, পলাশ সাহা, স্বপ্নীল দেব, ¯িœগ্ধা ঘোষ, শারমিন আক্তার, মালিহা আক্তার শোভা, ফারিয়া হক, ছোঁয়া সিকদার, আরেফিন সুলতানা, উম্মে হাবিবা, অন্বেষা সাহা ও কাজী আরদি। মোহাম্মদ প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের নুসরাত শবনম, সায়ীদাহ হারুন, আফশিন আহমেদ এশা, প্রাচুর্য সাহা, মরশিদা রহমান, মো. এাহিম বিন মনিরুল ইসলাম, সাদমান জামান, রোমাঞ্চ নিলয়, মুনতাসিন মারজান। বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের সুমাইয়া তাবাসসুম, সুমাইতা নাবিহা, আলফি শাহরিন, রাদিয়াতাম মারদিয়া, রাদিয়া ফাতিমা পুষ্পিতা, ফারহান তেজওয়ার, আয়মান ইসলাম ও আহনাফ মাহমদ হাসান।
×