ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহিবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন গ্রুপের হাতে জিম্মি সাধারণ রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২৯ আগস্ট ২০১৯

মহিবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন গ্রুপের হাতে জিম্মি সাধারণ রোহিঙ্গারা

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বর্তমানে আলোচিত একটি নাম মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গাদের যত জঙ্গী সংগঠন রয়েছে এদের সকলকে ছাপিয়ে গেছে মহিবুল্লাহ ও তার সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইউএনএইচসিআর-এর কক্সবাজার অঞ্চলে নিয়োজিত কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে এই মহিবুল্লাহর। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির নিয়ন্ত্রণে মহিবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন এ সংগঠনের রয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি সদস্য। বর্তমানে মহিবুল্লাহর এ সংগঠন প্রত্যাবাসনবিরোধী তৎপরতায় ব্যাপকভাবে সক্রিয়। মহিবুল্লাহসহ এ সংগঠনের সকল নেতাকে আটক করার তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আশ্রয় শিবিরে সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান শুরু হচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে এসব শিবিরে ভয়াবহ জঙ্গী তৎপরতার আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থানরত সাধারণ রোহিঙ্গারা জিম্মি হয়ে আছে মহিবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন এ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হাতে। অস্ত্রধারী ওইসব রোহিঙ্গার অধীনে প্রতিটি ক্যাম্পে রয়েছে অন্তত ২০ সহ¯্রাধিক রোহিঙ্গা ক্যাডার। তারা দিনের বেলায় সাধারণ রোহিঙ্গার বেশ ধরে থাকলেও সন্ধ্যার পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ক্যাম্পের ভেতরে তৎপর ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর কথা না শুনলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ক্যাম্পের ভেতরে ইতোমধ্যে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। রাতের বেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে ৩২ রোহিঙ্গা শিবির। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী চায় না যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রেখে তাদের কর্মকা- চালিয়ে যেতে চায়। এ কারণে কোন সময় কাকে ধরে নিয়ে যায় এ ভয়ে সন্ধ্যার পরপরই দরজা বন্ধ করে কক্ষের বাতি নিভিয়ে দেয় সাধারণ রোহিঙ্গারা। এসব সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে এই মহিবুল্লাহ, মৌলবি আবদুর রহিমসহ তিন শতাধিক রোহিঙ্গা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, শুধু মহিবুল্লাহ নয়, সন্ত্রাসী তৎপরতায় রয়েছে এমন সব রোহিঙ্গাদের আইনের আওতায় আনতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে ঘিরে জঙ্গী তৎপরতা সৃষ্টি করতে পারে মহিবুল্লাহরা। যেহেতু আরাকান বিদ্রোহী গ্রুপের রোহিঙ্গা জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো (আরএসও, এআরইউ, আল ইয়াকিন-আরসা) রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে টার্গেট করে সদস্য সংগ্রহ করে তাদের দল ভারি করে যাচ্ছে। এসব ক্যাডারদের অস্ত্র কিনে দেয়ার ক্ষেত্রে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন আরএসও নেতা মৌলবি ইদ্রিছ, মৌলবি আয়াছ, হাফেজ হাসিম, জাবেরসহ বাংলাদেশী দাবিদার শতাধিক পুরনো রোহিঙ্গা নেতা। অস্ত্র কেনার কাজে বিদেশ থেকে অর্থ যোগান দিচ্ছে আরএসও প্রভাবশালী নেতা আবু সিদ্দিক আরমান। রোহিঙ্গাদের বিশ্বাসের আস্থা বলে খ্যাত আবু সিদ্দিক আরমান কিছুদিন আগে সৌদি আরব থেকে সস্ত্রীক কক্সবাজারে সফরে আসেন। অবস্থান করেন রোহিঙ্গা নেতা হাফেজ হাসিমের ঘরে। রোহিঙ্গা ক্যাডারদের ক্যাম্প অভ্যন্তরে মহিবুল্লাহসহ সহ¯্রাধিক অস্ত্রধারী ক্যাডার ও ক্যাম্পের বাইরে থাকা শতাধিক সাবেক আরএসও নেতাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত সহজে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আশা করা যায় না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর অভিমত। ইংরেজীতে কথা বলতে পারদর্শী রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর মাসিক আয় অর্ধ কোটি টাকা বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া বিশেষ কোন অনুষ্ঠান-মিটিং ও অস্ত্র কেনার কাজে আলাদা বাজেট তার হাতে পৌঁছে দেয়া হয়। মাস শেষে তার কাছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার তরফ থেকে নির্ধারিত টাকা পৌঁছে যায় বলে তথ্য মিলেছে। সূত্র জানিয়েছে, মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা শিবিরে মাত্র ১৫ সদস্য নিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের সংগঠনটি গঠন করার পর বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তন্মধ্যে পাকিস্তান-আফগানিস্তানসহ রোহিঙ্গা শিবিরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডার রয়েছে তিন শতাধিক। তাদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিবিরে নিয়োজিত সহ¯্রাধিক অস্ত্রধারীকে পরিচালনা করা হয়। আবার ওই সহ¯্রাধিক ডাকাত বা আলইয়াকিন নেতাদের মাধ্যমে ৩২ রোহিঙ্গা শিবিরে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ২০ হাজার সদস্য দিয়ে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যাতে ব্যর্থ হয় সেজন্য ক্যাম্পে বসবাসরত প্রত্যাবাসন বিরোধী চক্রের সহায়তায় তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফেরত না যায়, সেজন্য ক্যাম্পে বিভিন্ন অপকর্ম, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ক্যাম্পগুলো অশান্ত করে তুলছে অস্ত্রধারীরা। এর সঙ্গে কিছু এনজিও যে তাদের ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে এ অভিযোগ শুরু থেকে উঠেছে। সূত্র আরও জানায়, প্রতিদিন ব্লকে ব্লকে গিয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের এক থাকার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে দাবি পূরণ হলেই তারপর ফেরত যাওয়া হবে। আলোচিত এ মহিবুল্লাহর সরাসরি যোগাযোগ ইউএনএইচসিআর এর কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে। এই সংস্থার কর্মীরাই গত জুলাই মাসে মহিবুল্লাহকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করার ব্যবস্থা করে দেয় বলে তথ্য মিলেছে। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত মহিবুল্লাহসহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিপুল সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়ে প্রাণে বেঁচেছে। তাদের মধ্য থেকে মহিবুল্লাহ ও তার সহযোগীরা মাত্র দুই বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করল বিদ্রোহী সংগঠন, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। এ মহিবুল্লাহ গত ২৫ আগস্ট উখিয়ার কুতুপালংয়ে তাদের মহাসমাবেশে বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হলে সকলকেই তার সঙ্গে আগে আলাপ করতে হবে। জোর করে ফেরত পাঠানোর পরিনাম ভাল হবে না। সূত্রগুলো জানিয়েছে, মহিবুল্লাহর এ জাতীয় কথাবার্তায় বাংলাদেশের প্রশাসনকে আদৌ সে আমল দেয় কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কক্সবাজার অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্য কামারের দোকানে হাজার হাজার দেশীয় অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী সংগঠন, দেশী এনজিও নামে বিদেশী এজেন্ট গিজ গিজ করছে অথচ প্রশাসন জানেই না কি ঘটছে, আর ২৫ আগস্ট কি ঘটে গেল। ভিনদেশী নাগরিক মহিবুল্লাহসহ তার সকল সহযোগীকে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার কোন বিকল্প এ মুহূর্তে নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মতব্যক্ত করেছেন। সূত্র জানায়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের একাধিক বিদ্রোহী সংগঠন থাকলেও বর্তমানে উখিয়া টেকনাফের আশ্রয় শিবিরগুলোতে আল ইয়াকিন নামের একটি সশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপ বেশ সক্রিয় রয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গারাও ভয় পায় এ সংগঠনের সদস্যদের। টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে ঘটে যাওয়া ৪২টি হত্যাকা-ের ঘটনার বেশির ভাগের সঙ্গেই আল ইয়াকিন বাহিনী জড়িত বলে জানা গেছে। রাতে ক্যাম্পে অস্ত্রধারীদের রাম রাজত্ব ও প্রকাশ্যে খুনের মতো ঘটনা উখিয়া টেকনাফ অঞ্চলে জন্য চরম হুমকি স্বরূপ বলে মত ব্যক্ত করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার ঢল শুরু হওয়ার সময় ছদ্মবেশে আরএসও, এআরইউ ও আল ইয়াকিন সংগঠনের অসংখ্য সন্ত্রাসী বাংলাদেশে চলে এসেছে। সীমান্তের এপারে রোহিঙ্গাদের উল্লেখিত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর তেমন অস্তিত্ব অতীতে না থাকলেও বর্তমানে আশ্রয় শিবিরগুলোতে আল ইয়াকিনের সদস্যরা বেশ আধিপত্য বিস্তার করে রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিবিরে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বুধবার জনকণ্ঠকে জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে তাদের নজর রয়েছে। তবে দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল থাকলেও রাতে অরক্ষিত থাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের মাঝে শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে ১০৯০। এত কমসংখ্যক পুলিশ দিয়ে ভিনদেশী ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব একটি বিষয়। প্রতিটি ক্যাম্প ঘিরে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুলিশী তৎপরতা থাকলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা তাদের ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে এ সময়কে সন্ত্রাসীরা কাজে লাগাচ্ছে। তা বর্তমানে প্রত্যাবাসনবিরোধী এবং বেশকিছু রোহিঙ্গা সদস্য নানা অপকর্মে জড়িত হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বুধবার জানান, স্থানীয়দের ওপর আগামী দিনে কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে তা বোঝানোর জন্য রোহিঙ্গাদের এমন মহাসমাবেশ একটি সঙ্কেত মাত্র। কক্সবাজার পিপলস ফোরামের মুখপাত্র এইচএম নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মহাসমাবেশ করে কী বুঝাতে চাচ্ছে রোহিঙ্গারা- তা যদি এখনই উপলব্ধি করা না যায় তাহলে আগামী দিনে হয়তো বড় কিছু ঘটতেও পারে। যা আমাদের প্রশাসনকে প্রতিরোধ করতে হিমশিম খেতে হবে। তাই এখনই সতর্ক হওয়া উচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দখলে চলে যায়। অনেক সময় অন্তর্কোন্দলেও জড়ায় তারা। প্রতিদিন সূর্য উদয় হওয়ার আগে ওইসব সন্ত্রাসীরা সাধারণ ও ভদ্র রোহিঙ্গার মুখোশ পরে। গত দুই বছরে রোহিঙ্গা শিবিরে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছে ৪৩ জন রোহিঙ্গা। টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। আবদুল হাকিম বাহিনী ও নবী হোসেন বাহিনীর সদস্যরা যখন-তখন অপহরণ ও মুক্তিপণ না পেলে হত্যা করে লাশ গুম করে থাকে। তাদের কাছে ভারি অস্ত্রও রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে কাঁটা তারের বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত ॥ রোহিঙ্গাদের অপরাধ ঠেকাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিবিরের চতুর্দিকে কাঁটা তারের বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত গত এক বছর আগের। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়নি। এখন সরকার এ ব্যাপারে তৎপর হয়েছে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, কাজটি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে আরআরআরসির পক্ষ থেকে সরকারকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সূত্র মতে, আলাদা ৭টি ক্যাম্পের চারদিকে ১৫৭ কিলোমিটার জুড়ে কাঁটাতার বসানোর দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের যৌথ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে স্থান চিহ্নিত করে জমি বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ৩ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ॥ টেকনাফে কোস্টগার্ড রোহিঙ্গা মাদক কারবারিদের ধাওয়া করে ৩ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ও কাঠের নৌকা জব্দ করেছে। মঙ্গলবার ভোররাতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী পূর্ব জোনের টেকনাফ বিসিজি স্টেশানের একটি বিশেষ টহল দল জাদিমোরা ওমরখালে এ অভিযান চালায়। উল্লেখ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক মাদক গডফাদাররা এই পয়েন্ট দিয়ে মূলত মিয়ানমার গউজিবিলের আব্দুর রহমান মাস্টারসহ একাধিক বিক্রেতার কাছ থেকে বড় আকারের মাদকের চালান খালাস করে থাকে। পাসপোর্ট করতে এসে ধরা খেল রোহিঙ্গা তরুণী ॥ কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে ভুয়া বাবাসহ আটক ১৮ বছরের এক রোহিঙ্গা তরুণী আটক হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক বছর কারাদ- দেয়। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানান কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম। সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম জানান, কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এক তরুণীকে নিয়ে বাবা-মেয়ের পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন কক্সবাজার সদর পূর্ব নাইক্ষংদিয়ার মনজুর আলম। পরে সন্দেহ হলে মেয়ে আসমার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করা হয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের করা তালিকার সঙ্গে মিলে যায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসমা নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে এবং টাকার বিনিময়ে মনজুর আলমকে পিতা সাজিয়ে পাসপোর্ট করার চেষ্টা করছিল বলে জানায়। আসমার প্রকৃত নাম রশিদা বেগম, সে উখিয়ার জামতলী ক্যাম্পের আব্দুল আমিনের মেয়ে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাদের দুইজনকে এক বছরের কারাদ- দেন।
×