ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতীয় বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার

হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা মাত্র এক টাকায়

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২৭ আগস্ট ২০১৯

 হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা মাত্র এক টাকায়

বাড়িতে বসে একেবারে কম মূল্যে রক্তে সুগার ও হিমোগ্লোবিন টেস্টের যন্ত্র আবিষ্কার করেছে ভারত। রক্তে সুগারের পরিমাণ কত, হিমোগ্লোবিন কতটা ওঠানামা হয়েছে, তা জানতে খরচ হবে মাত্র এক টাকা। ব্যয় সাশ্রয়ী এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন খড়গপুর আইআইটির একদল বিজ্ঞানী। আনন্দবাজার পত্রিকা। ‘রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি’র জার্নালে অভিনব পদ্ধতির খবর প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নালে। খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তীর সাত বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ‘আল্ট্রা লো-কস্ট ব্লাড টেস্ট ডিভাইস’ বা অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে রক্ত পরীক্ষার যন্ত্র। সুমন জানান, যন্ত্রটি বানানোর পদ্ধতিতে কোন জটিলতা নেই। তা বানাতে খরচও হয়েছে খুব কম। খরচ বলতে, একটি স্মার্টফোন লেগেছে। আর সেটি রাখার জন্য লেগেছে একটি হোল্ডার। সেই হোল্ডারে একটি ছোট্ট ‘এলইডি’ লাইট রয়েছে। যার আলো একটি কাগজের মধ্যে দিয়ে গিয়ে মোবাইলের ক্যামেরায় পড়বে। সেই কাগজটি একটি ‘ফিল্টার পেপার’। তাতেই রাখা থাকবে রক্তের নমুনা। সেই ছবি দেখেই রক্তে শর্করা বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব। ওই যন্ত্রে রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রথমে মাত্র এক ফোঁটা রক্ত ফেলা হবে ফিল্টার পেপারে। সেখানে রক্তরস ও রক্তকণিকা আলাদা হয়ে যাবে। বর্তমানে রক্তরস ও রক্তকণিকাসহ পুরো রক্ত নিয়ে তাতে শর্করার মাত্রা নির্ণয় করা হয়। কিন্তু নতুন উদ্ভাবিত যন্ত্রে তার প্রয়োজন হবে না। এক্ষেত্রে শুধু রক্তরসেই শর্করার মাত্রা কতটা, তা নির্ণয় করা যাবে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এক ফোঁটা রক্ত থেকে পাওয়া রক্তরস টিউবের সরু পথ ধরে পৃষ্ঠটানের মাধ্যমে কাগজের অপর প্রান্তে রাখা কয়েকটি রাসায়নিকের মধ্যে গিয়ে পড়বে। সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ওই রক্তরস লালচে বাদামি রং নেবে। এই রং যত গাঢ় হবে, রক্তে শর্করার পরিমাণ তত বেশি বলে প্রমাণিত হবে। মোবাইলে একটি এ্যাপ্লিকেশন বা এ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সেই এ্যাপ রং বিশ্লেষণ করে বলে দেবে রক্তে শর্করা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কত। তিনি আরও জানান, ফিল্টার হওয়া থেকে শুরু করে রাসায়নিকের কাছে পৌঁছতে রক্তরসের সময় যাতে কম লাগে তার জন্য তারা ‘পেপার এ্যান্ড পেন্সিল’ নামে একটি পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন। সুমন বলেন, ‘একই পদ্ধতিতে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও নির্ণয় করা যায় স্বল্পমূল্যের এই যন্ত্রে। প্রাথমিক খরচ বলতে একটি স্মার্টফোন ও তার হোল্ডার।
×