নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত সোনাদীঘিতে কয়েক জেলার মৎস্য শিকারীদের পদচারণায় মিলন মেলায় পরিণত হয়।
জানা গেছে, বন বিভাগের লীজ দেয়া ভেড়ম সোনাদীঘির জলাশয় প্রায় ১৮ একর। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মৎস্য শিকারীদের মাঝে টিকিটের মাধ্যমে মৎস্য শিকারের ব্যবস্থা করা হয়। দীঘিতে মোট ৫২টি টিকিট বিক্রি করা হয়। প্রত্যেক টিকিটে ১টি করে ঘাটে মোট ৫টি ছিপ বসানোর ব্যবস্থা ছিল। প্রতিটি টিকিটের মূল্য নেয়া হয়েছে ২১ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মাছ শিকার করা হয়। ঢাকা, বগুড়া, দিনাজপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও আশপাশের এলাকা থেকে মৎস্য শিকারীরা আসেন এই দীঘিতে মাছ শিকার করতে। অনেকে বড় বড় মাছ ধরার আশায় আসলেও চাহিদা মতো মাছ না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন তারা। এদিকে অভিযোগ করে ৩৯ নম্বর ঘাটের বগুড়ার বাদুরতলার মুক্তার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে তার ৩৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু মাছ পাওয়া গেছে মাত্র ৬-৭ কেজি। ৩১ নম্বর ঘাটের নওগাঁর আলুপট্রির সজীব হোসেন বলেন, মৎস্য শিকার করতে তার দলের প্রায় ৪২ হাজার টাকা খরচ হলেও মাছ পাওয়া গেছে ১৫কেজি। ৩০ নং ঘাটের জয়পুরহাটের ইদ্রিস আলী বলেন, হাঙ্গেরী, রুই, মৃগেল ও কালবাউস মিলে তার দল ১৭কেজি মাছ ধরেছে। অপরদিকে ৫২ নং ঘাটের বগুড়ার কাটনারপাড়ার রাসেল চৌধুরী বলেন, আমার দল প্রচুর মাছ ধরেছে। তবে মাছের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজির ওপর নয়। বেশিভাগ মাছ রুই, হাঙ্গেরী ও মাঝে মধ্যে কাতলা পাওয়া গেছে। দীঘির পশ্চিম ও দক্ষিণ পার্শেও মাছ কম ধরা পড়েছে। পূর্ব ও উত্তর পার্শে তুলনামূলক বেশি মাছ ধরা পড়েছে। ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও সাবেক বনবিট কর্মকর্তা লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, দীঘির অবৈধ দখলমুক্ত করে সংস্কার করা হয়েছে। ১ বছরের জন্য আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমানকে প্রায় ১১ লাখ টাকায় লীজ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে ওই দীঘির লীজ গ্রহিতা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বরেন, প্রচুর পরিমাণে বড় মাছ থাকলেও বৃষ্টির কারণে মাছ ধরা কম পড়ছে। তাছাড়া ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের মাছ প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: