ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের বাংলাদেশ শাখায় দুর্নীতি, অনিয়ম ;###; পাকিস্তান থেকে আসছে আরও ৪০ কোটি টাকার মূলধন ;###; ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা ॥ বাংলাদেশ ব্যাংক

পাঁচ বছরে হাওয়া ৪২০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১১ আগস্ট ২০১৯

 পাঁচ বছরে হাওয়া ৪২০ কোটি টাকা

রহিম শেখ ॥ মাত্র পাঁচ বছরে ৪২০ কোটি টাকার মূলধন খেয়ে ফেলেছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এনবিপি) বাংলাদেশ শাখা। নতুন করে আরও ৪০ কোটি টাকার মূলধন চেয়ে করাচীতে চিঠি পাঠিয়েছে ব্যাংকটির ঢাকা অফিস। যদিও ব্যাংক চালাতে বর্তমানে ঘাটতির পরিমাণ ৫৪ কোটি টাকা। পাকিস্তানভিত্তিক এই ব্যাংকটিকে ঘাটতি পূরণ করতে হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এনবিপি মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মূলধন সঙ্কটের বাইরে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ৯৫ শতাংশ এরই মধ্যে খেলাপী হয়ে গেছে। আটকে গেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার আমানত। এই অবস্থায় বছরের পর বছর লোকসান গুনছে ব্যাংকটি। এত কিছুর পরও ৬ শাখা বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কোন ধরনের আয় না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংকটি। ব্যবসা না গুটিয়ে কোন উদ্দেশ্যে বার বার মূলধন যোগান দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন উঠছে দেশের আর্থিক খাতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকটিকে দেউলিয়া ঘোষণা কিংবা অবসায়নের সময় চলে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ঋণ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপী হয়ে পড়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৯৮ শতাংশ। খেলাপী ঋণের পুরোটাই ক্ষতিকর মানের। ফলে এসব ঋণ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ঋণ খেলাপী হয়ে পড়ায় ব্যাংকটির মূলধন শেষ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে দুই দফায় মূলধন আসে পাকিস্তান থেকে। প্রথম দফায় আসে ৭৭.৪৪ কোটি ও দ্বিতীয় দফায় আসে ৩৪২.৫৪ কোটি টাকা। এরপরও আর্থিক অবস্থার কোন উন্নতি করতে পারেনি বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী বিদেশী খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি)। বর্তমানে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি রয়েছে ৫৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের ২০ মার্চ মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য এনবিপিকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে গত ২০ জুনের মধ্যে এই ঘাটতি পূরণের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এনবিপি মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশের ঢাকা অফিসের পাশাপাশি এনবিপির করাচী অফিসে চিঠির একটি অনুলিপি পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর সময় বাড়াতে আবেদন জানালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে এনবিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৪০ কোটি টাকার মূলধন যোগানের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, ব্যাংকটি বারবার মূলধন ঘাটতিতে পড়ছে। একই সঙ্গে কোন ধরনের বিনিয়োগ না থাকলেও ব্যাংকটির ৬ শাখা বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এবার সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে কোনভাবে মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের করাচীতে এনবিপির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার শাখা রয়েছে ওই দেশে। পাশাপাশি ২১ দেশেও শাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বাংলাদেশে আগে থেকেই ব্যাংকটির শাখা থাকলেও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের হাত ছাড়া হয় এনবিপির শাখা। এ সময় এনবিপির সব সম্পত্তি ও বিনিয়োগ অধিগ্রহণ করে সোনালী ব্যাংক। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় থাকাকালীন এনবিপিকে নতুন করে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দেয়া হয়। এরপর ব্যাংকটি বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে ১৯৯৪ সালের আগস্টে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬ শাখা রয়েছে এনবিপির। চট্টগ্রাম ও সিলেট এবং রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিল মিলিয়ে এসব শাখা অবস্থিত। ব্যাংকটিতে শতাধিক জনবল রয়েছে। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর কিছুদিন মুনাফার মুখ দেখলেও এরপর থেকে লোকসানে পড়ে ব্যাংকটি। তবু বছরের পর বছর অজ্ঞাত কারণে লোকসান বয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। ব্যাংকটি ২০১০ সালে লোকসান করে ১৪ কোটি টাকা। ২০১১ সালে ৩২ লাখ টাকা মুনাফা করলেও পরের বছরে ১৩৭ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ব্যাংকটি যথাক্রমে ১১৬ ও ৩১২ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০১৫ সালে লোকসান দিয়েছে ৩৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে লোকসান ছিল আড়াই কোটি টাকা। ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও বড় অঙ্কের লোকসান দিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি)। পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও বড় ধরনের ঋণ ঝুঁকিতে পড়েছে এ ব্যাংকটি। এ মুহূর্তে বিদেশী ৯ ব্যাংকের মধ্যেও এনবিপির অবস্থান সবচেয়ে তলানিতে। খেলাপী ঋণের হারে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। খোদ স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) সুপারভিশন এ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট বলছে, বাংলাদেশে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি) লোকসান দিয়েছে ১৮৫০ কোটি রুপী। বাংলাদেশী টাকায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ অর্থ লোকসান হয়েছে না কি দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র বলছে, মূলত ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ শাখায় সমস্যা শুরু হয় খেলাপী ঋণ নিয়ে। সেই সময়ে ১৯টি অভিযোগ প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিল শাখায় গিয়ে দেখা যায়, শাখাগুলোতে কোন গ্রাহক নেই। সব চেয়ার-টেবিলে কর্মকর্তাও নেই। যারা আছেন, তাদের কোন কাজকর্ম না থাকায় মোবাইলে কথা বলে ও গল্পগুজবে সময় কাটাচ্ছেন। ব্যাংক লোকসানে থাকলেও বেতন-ভাতা নিয়মিত পাচ্ছেন কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিল শাখার একাধিক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, শাখায় কোন কাজকর্ম নেই। মাঝে মাঝে পাকিস্তান থেকে উর্ধতন কর্মকর্তারা আসেন। আলোচনা করে আবার চলে যান। কিন্তু পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় না। ওই কর্মকর্তারা বলেন, অন্য কোথাও চাকরি না পাওয়ায় এনবিপিতে রয়ে গেছেন। যারা সুযোগ পাচ্ছেন, তারা চলে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে এনবিপির বাংলাদেশ শাখা প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়াই সন্দেহজনক বেশকিছু কোম্পানিকে ঋণ দেয়। সূত্র জানায়, সেই সময়ের ঋণ শাখা এবং বিদেশী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনবিপির করাচী অফিস। সেই সময়ে প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়াই যে ঋণ দেয়া হয়েছে, তাতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কোন গাফিলতি ছিল কি-না কিংবা তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কি-না এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে এক বিশেষ পরিদর্শন করে ব্যাংকটির করাচীর প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছিল, অস্তিত্ব নেই এমন অনেক প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ শাখা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকার সময়ে অনেক ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় ন্যাশনাল ব্যাংক পাকিস্তানের বাংলাদেশ শাখা। শাখাগুলো থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় এনবিপি। ব্যাংকটির বাংলাদেশে শীর্ষ খেলাপী হলো কটন গ্রুপ। ওই গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কটন কর্পোরেশনের ১৮৪ কোটি, ওয়াফা এন্টারপ্রাইজের ৮৯ কোটি ও জুমাইরাহ এন্টারপ্রাইজের ২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসবি ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা ২৯ কোটি টাকা। এছাড়া ইব্রাহিম টেক্সটাইলের খেলাপী ২৯ কোটি, ঢাকেশ্বরী হায়েটসের ৩২ কোটি, ডিজি নিটিং কোম্পানির ৪২ কোটি, ওয়ার্ল্ড টেল বিডির ৩৭ কোটি, আলেয়া সোয়েটারের ২৯ কোটি, টেক্সটাইল ভারসুসোর ৩০ কোটি ও বিআই এন্টারপ্রাইজের ৩৫ কোটি টাকা। ঋণ দেয়া হয়েছে সুতা, খাদ্য, ওষুধ, চামড়া, কেমিক্যাল, কসমেটিকস, সিমেন্ট, সিরামিকস, সেবা, যোগাযোগ ও অন্যান্য খাতেও। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ঋণ দেয়া হয় ব্যাংকটির গুলশান শাখা থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শাখায় কর্মরত সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে কোন ব্যাংকিং হয়নি। মূলত পাকিস্তানী কমিউনিটিকে টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হয়েছে তাদের জন্য সুপারিশ করেছেন বিএনপি-জামায়াত জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা সেই সময় সুপারিশ করেছিলেন তাদের অনেকেরই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ফাঁসির দন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এনবিপির এমন পরিস্থিতির বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার গুলশানের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাংকটির বাংলাদেশ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। ব্যাংকটিতে এতদিন পাকিস্তানী নাগরিকদের নিয়োগ দেয়া হলেও ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশী হিসেবে কামরুজ্জামানকে প্রথম নিয়োগ দেয়। এনবিপির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে অনিয়মের জন্য ব্যাংকটির সাবেক প্রধানসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ জন্য বলা যায়, এসব ঋণের সুবিধাভোগী ছিল পাকিস্তানের কোন এজেন্ট। না হলে এত বড় ব্যাংকের প্রধানকে আটক করা হতো না। তিনি বলেন, এনবিপি দেউলিয়া হওয়ার শেষ প্রান্তে। বাংলাদেশে থাকা ব্যাংকটির সব শাখা এখনই বন্ধ করে দেয়া উচিত। তা না হলে বিপদে পড়বে এ দেশের আমানতকারীরা। সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এনবিপি) বাংলাদেশ শাখায় বড় অঙ্কের লোকসানের জন্য ৬১ কর্মকর্তাকে দায়ী করে একটি প্রতিবেদন দেয় পাকিস্তানের একটি পার্লামেন্টারি প্যানেল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এনবিপির বাংলাদেশ শাখায় লোকসানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ব্যাংকের ৬১ কর্মকর্তা। যারা শুধু বাংলাদেশ শাখায় নয়, আঞ্চলিক অফিস বাহরাইন এবং প্রধান কার্যালয় করাচীতেও ছিলেন। এদিকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের প্রাথমিক তথ্যেও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এনবিপিকে একটি কর্মপরিকল্পনা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়। এর আগে গত মাসে দেশটির একটি গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এনবিপির বাংলাদেশ অংশের দুর্নীতির দায়ে ব্যাংকটির সাবেক প্রেসিডেন্ট সাঈদ আলী রাজা, এনবিপি বাংলাদেশ শাখার সাবেক প্রধান কর্মকর্তা ইমরান বাট ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খানকে গ্রেফতার করেছে ন্যাশনাল এ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। এনএবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৬ জন ব্যাংকটির নানা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে সলিমুল্লাহ, প্রদীপ, কাজী নিজামসহ কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিকও রয়েছেন। এসব ব্যক্তির কারণে পাকিস্তানের জাতীয় রাজস্বের সাড়ে ১৮ কোটি ডলার (১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা) ক্ষতি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
×