ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নয় মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়ল ১০ বছর

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ১১ আগস্ট ২০১৯

নয় মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়ল ১০ বছর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি রেস ম্যানেজমেন্ট পিএলসি পরিচালিত নয়টি মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন পাওয়া ফান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এনবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যানুসারে, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ২০৩২ সালের ১০ জানুয়ারি, এনবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ২০৩১ সালের ১৫ মে, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ২০৩০ সালের ২৪ নবেম্বর, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ২০৩০ সালের ১৮ অক্টোবর, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ২০৩৩ সালের ২৬ জুন, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের মেয়াদ ২০৩২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ২০৩০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ২০৩০ সালের ৩১ মার্চ ও ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়ছে ২০৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর আগে গতবছরের সেপ্টেম্বরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির ৬৫৭তম কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিদ্যমান মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছরের সমান আরও একটি মেয়াদে বাড়ানো যাবে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো বিদ্যমান কোন মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ শুরু থেকে সর্বমোট ২০ বছরের বেশি হবে না। এছাড়া যেসব মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ড মেয়াদ বাড়াতে ইচ্ছুক নয়, সেগুলো বিধি মোতাবেক রূপান্তর বা অবসায়নের সুযোগও থাকবে। প্রসঙ্গত, গতবছরের ৩১ মে সরকারের একটি বিশেষ সংস্থা পুঁজিবাজারের সর্বশেষ পরিস্থিতি উত্তরণে করণীয় বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এতে ২০১১ সালের পুঁজিবাজারের ধস-পরবর্তী সময়ে বাজার স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে যেসব মিউচুয়াল ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, সেগুলোর মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ইতিবাচক ভূমিকা রাখার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে প্রয়োজনে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নীতিমালা পরিবর্তনের কথা বলা হয়। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরের ২৮ জুন বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে অর্থমন্ত্রী স্বাক্ষরিত একটি উপানুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ২০১১ সালের পুঁজিবাজারের ধস-পরবর্তী সময়ে বাজার স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে যেসব মিউচুয়াল ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, সেগুলোর মেয়াদ ১০ বছর বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের অবসায়ন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়, ফান্ডের অবসায়ন কিংবা সঙ্কোচন হলে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি ন্যায্যমূল্যে ফেরত পাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ মেয়াদী ফান্ডগুলো অবসায়নে গেলে বাজারে বড় ধরনের বিক্রয়চাপ তৈরি হবে এবং এতে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের সূচকে নিম্নমুখী চাপ তৈরি হবে। এতে মিউচুয়াল ফান্ডের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সার্বিক পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়ানো হলে পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের সময় মার্কেট মেকারের ভূমিকা পালন করতে পারবে। তাই পুঁজিবাজারের সমসাময়িক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদপূর্তি হবে, সেগুলোর প্রতিটির মেয়াদ পরবর্তী এক মেয়াদের (১০ বছর) জন্য বাড়ানোর বিষয়টি বিএসইসিকে বিবেচনা করতে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে কমিশন মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে গতবছরের ২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে।
×