ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন মালিককে সোয়া তিন লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: ১০:১৫, ৩ আগস্ট ২০১৯

  কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন মালিককে সোয়া তিন লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান ডেঙ্গুবিরোধী অভিযানে কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে তিন লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর একযোগে সংস্থাটির পাঁচটি অঞ্চলে ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির সূত্র জানায়, ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার গুলশান-২ এর ৫টি নির্মাণাধীন ভবন, হাসপাতাল ও দফতরকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে ৭৯নং রাস্তার লেক ভিউ ক্লিনিককে ৫০ হাজার টাকা, একই রাস্তার একটি বাড়ির মালিককে ৫০ হাজার টাকা, ৮১নং রাস্তার ডিজাইন স্কেইপ আরকিটেক্ট ইনস্টিটিউটকে ৫০ হাজার টাকা, ৭৩নং রাস্তার সোনিয়া গ্রুপকে ২৫ হাজার টাকা এবং ৭৩নং রাস্তার মেটাল হোল্ডিংকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে এসব স্থানে অপরিষ্কার পরিবেশ এবং এডিস মশার লার্ভা ও বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ডিএনসিসির ৫টি অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানের ১৪৫টি আবাসিক ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। অভিযানে পল্লবী এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শফিউল আজম এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা ও নির্মাণ সামগ্রী ফুটপাথ ও রাস্তায় রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে ৬টি মামলায় ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্ব বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকায় ৪টি বাড়িকে নোটিস করা হয়। মোহাম্মদপুরে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় এডিস মশার বংশ বিস্তারের উপযোগী পরিবেশ ও অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগে ৪টি বাড়ির মালিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ছাদে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকায় মুচলেকা নিয়ে ছাদ পরিষ্কার করার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার জানান, চলমান ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। যদি কোথাও এডিস মশার লার্ভা ও বংশ বিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
×