ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে খাল দখল করে স্থাপনা ॥ প্রবাহ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২ আগস্ট ২০১৯

মাদারীপুরে খাল দখল করে স্থাপনা ॥ প্রবাহ বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১ আগস্ট ॥ থেমে নেই সরকারী খাল ও জলাশয় দখল। কোথাও প্রভাবশালীরা আবার কোথাও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণী সুবিধাবাদী মানুষ খাল দখল করে বাড়ি-ঘরসহ রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করছে। তাদের বাধা দেয়ায় প্রভাবশালীদের ভয় দেখিয়ে এসব স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। রাজৈর উপজেলার বৌলগ্রাম, টেকেরহাটের শিমুলতলা, স্বরমঙ্গলের খাল, খালিয়া ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত খালসহ উপজেলার ছোট বড় প্রায় ২০টি খাল রয়েছে। খালিয়া ইউনিয়নের বাউয়ালীর কাঁচা থেকে শুরু করে ভা-ারী বাজার পর্যন্ত বড় একটি সরকারী খাল প্রবাহিত। এই খালে মাটি দিয়ে ভরাট করে বৌলগ্রামের সঞ্জয় কীর্তনিয়া প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে। এছাড়াও বাউয়ালীর কাঁচা নামক স্থানে নিরোদ দত্ত নামের এক ব্যক্তি খালে বাঁধ দিয়ে নিজের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা নির্মাণ করছে। বাউয়ালীর কাঁচা থেকে শুরু করে ভা-ারী বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০টি স্থানে খাল ভরাট করে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। কেউ খাল দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে, কেউ খাল দখলের পাঁয়তারা করছে। ফলে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময় এই খালে নৌকা চলত এবং মানুষ মালপত্র নিয়ে যাতায়াত করত। এখন সবই বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর দাবি শীঘ্রই খাল পুনরুদ্ধার করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টি করা হোক। যাতে মানুষ আগের মতো যাতায়াত করতে পারে। এ ব্যাপারে খালিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর সাগর হোসেন বলেন, ‘খালিয়া ইউনিয়নের তহশিলদার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা আর্থিক সুবিধা নিয়ে এদের ঘর-বাড়ি ও রাস্তা নির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে।’ তহশিলদার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘আর্থিক সুবিধা নেয়ায় কথা সত্য নয়। ইতোমধ্যে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসিল্যান্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে, তিনি ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়াও যারা খাল দখল করেছে তারা নিজ দায়িত্বে দখল ছেড়ে দেবে।’ অপরদিকে রাজৈর পৌর এলাকায় টেকেরহাট বন্দরের জিয়া খালটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এলাকাবাসী ময়লা ফেলে খালটি প্রায় ভরাট করে ফেলেছে। এ খালটিও দখল হয়ে গেছে। দখলদাররা খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণ এবং খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট করে বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণ করার ফলে খালের পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে শিমুলতলা থেকে পশ্চিম স্বরমঙ্গল যাওয়ার রাস্তার পাশের খালটি দখল করে পানির প্রবাহ রোধ করা হয়েছে। ফলে খালের স্বাভাবিক গতি নষ্ট হয়ে এখন মৃত প্রায়। এ ব্যাপারে রাজৈর পৌর মেয়র শামীম নেওয়াজ বলেন, ‘পৌরসভার সব খাল অতিসত্বর দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করা হবে।
×