ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াকিন পলিমারের ১ কোটি ৬৮ লাখ শেয়ার লক ফ্রি

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৮ জুন ২০১৯

 ইয়াকিন পলিমারের ১ কোটি ৬৮ লাখ শেয়ার লক ফ্রি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইয়াকিন পলিমারের উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩ বছরের লক-ইন থাকা মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ শেয়ারের লক-ইন ফ্রি হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তবে (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা ১৯৯৫-এর বিধি-৪-এর উপবিধি ২ এবং সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ১২ পরিপালনে এই লন-ইন ফ্রি শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না উদ্যোক্তা পরিচালকরা। কারণ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ ) বিধিমালা ১৯৯৫- এর বিধি-৪-এর উপবিধি ২ অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী, নিরীক্ষক বা নিরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, পরামর্শক বা আইন উপদেষ্টা কিংবা সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ১২তে উল্লেখিত সুবিধাভোগী উক্ত কোম্পানির বার্ষিক হিসাব সমাপ্ত হওয়ার ২ মাস আগে থেকে কোম্পানির পর্ষদ কর্তৃক বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত অনুমোদনের তারিখ পর্যন্ত কোন শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় কিংবা অন্য কোনভাবে স্থানান্তর বা গ্রহণ করতে পারবে না। ২০১৬ সালের ৯ জুন ইয়াকিন পলিমারের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২০ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় কমিশন। কোম্পানিটি ওই বছরের ১৩ জুন প্রসপেক্টাস ইস্যু করে। সেই হিসাবে গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩ বছরের লক-ইন থাকা শেয়ার ফ্রি হয়েছে। আর লক-ইন ফ্রি শেয়ার বিক্রি করা কিংবা না করা উদ্যোক্তা পরিচালকদের অনুমোদন বা সিদ্ধান্তের বিষয়। আবার এই শেয়ার বিক্রি করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ঘোষণা করতে হয়। কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ পয়সা। আর ৯ মাসে (জুলাই,১৭ -মার্চ,১৮) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। গতবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ পয়সা। ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২ টাকা ২৬ পয়সা।
×