ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৪ জুন ২০১৯

 নোয়াখালীতে মাদ্রাসা  শিক্ষিকাকে ধর্ষণের  অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১৩ জুন ॥ কোম্পানীগঞ্জে আহমেদ মিশন (২৬), নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে বুধবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষিকা মুছাপুর ইউপির ভাড়া বাসায় বসবাস করছে। ৪ বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে মুছাপুর ৫নং ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্যাহ’র নতুন বাড়ির মোঃ এরফান’র ছেলে আহমেদ মিশনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা ৪ বছরে গভীর থেকে গভীরতর হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব করে, এতে রাজি না হওয়ায় সে অশোভন আচরণ করে। পরে ওই শিক্ষিকা তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিলে সে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার ক্ষতি করার সুযোগ সন্ধানে থাকে। নেত্রকোনা নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, এবার নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার প্রায় চার মাস পর অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীটি নিজেই বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পরপরই প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় জনতা বিদ্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা মেরে দিয়েছে। ছাত্রী জানায়, প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে কয়েকটি খাবারের প্লেট ধুয়ে দিতে বলেন। পরে ছাত্রীটি অফিস কক্ষের ওয়াশ রুমে ঢুকে প্লেট ধুতে গেলে আইন উদ্দিন তাকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় ভয়ে ওই ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আইন উদ্দিন তার চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলেন এবং ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখান। পরে ওই দিনই ছাত্রীটি বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
×