ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ৮ জুন ২০১৯

 রাজধানীর কাঁচাবাজারে  বেশিরভাগ দোকান  বন্ধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদের ছুটির আমেজ বিরাজ করছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। নাড়ির টানে গ্রামে যাওয়া ক্রেতা-বিক্রেতারা ফিরে না আসায় বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। দু’চারজন যারা দোকান খুলে পণ্য নিয়ে বসেছেন ক্রেতা সঙ্কটে তারাও পার করছেন অলস সময়। চলতি সপ্তাহে বাজার ঠান্ডা যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার ঢাকার কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, পলাশী বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কাওরান বাজারে বাজার করতে এসেছেন পূর্ব নাখালপাড়ার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ক্রেতা নেই কিন্তু বাজারে শাক-সবজিসহ অন্যান পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। ঈদের আগেই পুরো সপ্তাহের বাজার করেছেন অনেক ক্রেতা। এছাড়া ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ এখন গ্রামের বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন। এ কারণে বাজার জমছে না। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলে কাঁচা মরিচসহ দু’একটি সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ জাত ও মানভেদে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ-মাংসের দাম স্থিতিশীল। তবে ঈদের একদিন আগে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়েছে পুরান ঢাকার ক্রেতাদের। এদিকে গতকাল কাওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেট বন্ধ থাকলেও শুক্রবার খুলেছে। সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাবেচা করছেন। এ বাজারে মাঝারি মানের রুই ২৮০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০-৩০০ টাকায়। এছাড়া মাংসের বাজারে গরু ৫৫০ টাকা ও খাশি ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মুরগির মাংসের মধ্যে ব্রয়লার ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানী ২৮০ টাকা, দেশী ৬০০ টাকা, সাদা কক ২৫০ টাকা ও টার্কি ২৮০-৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ ও রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ এখন ২৪ থেকে ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আরও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
×