ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভুটান ও ভারতে রফতানি হচ্ছে সৈয়দপুরের তৈজসপত্র

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ১৯ মে ২০১৯

 ভুটান ও ভারতে রফতানি হচ্ছে  সৈয়দপুরের তৈজসপত্র

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ভারতীয় তৈজসপত্র বাংলদেশে ছেয়ে গেলেও উত্তরবঙ্গের নীলফামারীর সৈয়দপুরের নোয়াহ গ্রুপের রয়েল্যাক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রির তৈরি প্রেসার কুকার, ননস্টিক, ফ্রাইপ্যান, স্টিল ও এ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্র ও গৃহস্থালী তৈজসপত্র এখন ভুটানের পর এবার ভারত রফতানি করা হচ্ছে। ভারতের উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে খোলা হয়েছে ওইসব পণ্যের শো-রুম ও বিক্রয়কেন্দ্র। ভুটানেও রয়েছে বিক্রয় কেন্দ্র ও শো-রুম। নোয়াহ গ্রুপের রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজটি সৈয়দপুর উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ল নিয়াতমপুরে নিজস্ব প্রায় সাড়ে তিন একর জমিতে গড়ে ওঠে ১৯৭৮ সালে। প্রথমে কারখানাটিতে শুধু এ্যালুমিনিয়াম পণ্যসামগ্রী তৈরি করে গোটা উত্তরাঞ্চলের বাজার দখলে নেয়। তারপর ২০০৭ সালে শুরু হয় প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, গ্যাস চুলা, ননস্টিকের নানা পণ্য তৈরির কাজ। এসবও মানসম্মত পণ্য হওয়ায় দ্রুত তা দেশীয় বাজারে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এসব পণ্য রফতানি শুরু হয় ভুটানের বাজারে। বর্তমানে চলতি বছর হতে এ সকল পণ্য রফতানি হচ্ছে ভারতের বাজারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও ভারতে বাজারে নোয়াহ গ্রুপের উৎপাদিত ব্যাপক সাড়া ফেলেছে নোয়াহ’র পণ্য। যা ভারতীয় তৈজসপত্রের চেয়ে অনেক উন্নতমানের। ভুটানে নোয়াহ পণ্যর চাহিদা প্রচুর। ভারতে নোয়াহ পণ্যের রফতানির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শিল্প সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজকুমার পোদ্দার জানায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন শুধু গার্মেন্টস নয়, অন্যান্য পণ্যও রফতানি করতে চাই আমরা। প্রধানমন্ত্রীর ওই কথায় আমরা উৎসাহ পেয়েছিলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় তৈজসপত্র ছেয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশেই আমাদের নোয়াহ গ্রুপের তৈজসপত্র তৈরিতে আমরা শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করেছি। নিজের দেশে আমাদের পণ্য সুনাম অর্জন করেছে। তিনি বলেন, গত দশ বছর ধরে বাংলাদেশ, কলকাতা ও দিল্লীতে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় নোয়াহ গ্রুপ অংশ নিয়ে আসছে। বাংলাদেশের নোয়াহ গ্রুপের পণ্য ভারতীয় ক্রেতাদের মন কেড়েছে। ফলে ভারতের বাজারে বাংলাদেশেরে নোয়াহ’র পণ্য প্রবেশ করা সহজতর হয়েছে। নোয়াহ চলতি বছরের শুরু থেকে একটি করে চালান পাঠিয়েছে ভারতে। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৫০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে তাই রফতানিও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় নোয়াহ গ্রুপের নিজস্থ জায়গায় কারখানা রয়েছে। সেখানে ১২টি ইউনিটে উৎপাদন। এখানে ৮০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে। প্রতিদিন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬০০ প্রেসার কুকার, ৫০০ ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, এক হাজার তৈজসপত্র। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ এ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনও বাড়ানো সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চীন থেকে নিম্নমানের তৈজসপত্র আমদানি করে নামীদামী কোম্পানির নকল স্টিকার লাগিয়ে প্রেসার কুকারে বাজারজাত করছে। প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ। অবৈধ এসব পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
×