ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিনা মঙ্গলের খুনীদের বিচার দাবিতে সোচ্চার নারী অধিকার কর্মীরা

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১৪ মে ২০১৯

 মিনা মঙ্গলের খুনীদের বিচার দাবিতে সোচ্চার নারী অধিকার কর্মীরা

আফগানিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা মিনা মঙ্গলকে রাজধানী কাবুলে শনিবার দিনের আলোতে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করেছে রাজনীতিবিদ ও নারী অধিকারকর্মীরা। রাজনৈতিক জীবন শুরু করার আগে তিনি টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। বিবিসি। আফগান সরকারের প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, মিনার হত্যাকারীদের শীঘ্রই আটক করা হবে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে তার হত্যার পেছনে কার হাত রয়েছে সে বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগান পার্লামেন্টের সংস্কৃতি বিষয়ক কমিশনের (আফগান পার্লামেন্টস কালচারাল এ্যাফেয়ার্স কমিশন) একজন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন মিনা। তিনি তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গুলিতে নিহত হন। স্থানীয় সময় প্রায় ০৭২০টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পার্লামেন্টের সংস্কৃতি বিষয়ক কমিশনে আফগানিস্তানের সুপ্রীমকোর্ট ও সুশীল সমাজও যুক্ত। এই কমিশন নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে কাজ করে। তার হত্যার ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে কমিশন। প্রখ্যাত নারী অধিকারকর্মী ওয়াজমা ফ্রোগ টুইটারে জানান, সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে মিনা জানিয়েছিলেন, তিনি জীবননাশের হুমকি পেয়েছেন এবং আশঙ্কা করছেন তাকে যে কোন মুহূর্তে হত্যা করা হতে পারে। হুমকির প্রকৃতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা রয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা অবশ্য পারিবারিক বিরোধের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন। মিনার মৃত্যুর পর থেকে আফগান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশজুড়ে সংগঠিত নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, আফগানিস্তানের সবচেয়ে উচ্চপদে আসীন একজন নারীর বিরুদ্ধে দিনের আলোতে এ ধরনের অপরাধ মেনে নেয়ার নয়। তাও আবার কাবুলের গ্রীন জোন এলাকায়। ওয়াজমা ফ্রোগ টুইটারে লেখেন, একজন নারীকে দিনের আলোতে হত্যা করা হলো কেননা একজন ব্যক্তি যিনি মনে করে তাকে (নারীকে) অবশ্যই হত্যা করা উচিত। অধিকার গোষ্ঠীগুলো ক্রমবর্ধমান হারে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিষয়ে নথি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে এ হার কেমন তার চিত্র তুলে ধরেছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসও আফগানিস্তানকে ২০১৮ সালে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় স্থান দিয়েছে।
×