ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের সুপ্রীমকোর্টে যাচ্ছে বিরোধী জোট

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

ভারতের সুপ্রীমকোর্টে যাচ্ছে বিরোধী জোট

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটের পর নতুন করে ইভিএম এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একযোগে সুপ্রীমকোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে ২০ দলের বিরোধী জোট। ইভিএম এর ত্রুটির কারণে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশ পুরনো ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে গেছে বলে যুক্তি দেখিয়ে তারা ভারতেও ব্যালট ফেরানোর দাবি করেছে। খবর এনডিটিভির। ইভিএমকে ‘চোর মেশিন’ আখ্যা দিয়ে এ মেশিনে কারচুপির অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তাছাড়া, ভারতের নির্বাচন কমিশন ইভিএম এ কারচুপি রুখতেও সচেষ্ট নয় বলে অভিযোগ তাদের। ইভিএম এ ত্রুটির বিষয়টি নিয়ে রবিবার দিল্লীতে এক বৈঠকের পর বিরোধীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৫০ শতাংশ মেশিনের পেপার ট্রেইল পরীক্ষা করে দেখার দাবি জানিয়ে সুপ্রীমকোর্টে যাবে তারা। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ইভিএম- এ ভোটগ্রহণ ব্যবস্থা তুলে দিয়ে ব্যালটে ভোট নেয়ার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। বৃহস্পতিবার ভারতজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে এদিন বিধানসভারও প্রথম পর্বের ভোট হয়েছে। ভোটের শুরু থেকেই ইভিএম নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে এবং কয়েকটি স্থানে ইভিএম মেশিন ভাংচুরও হয়েছে। ইভিএম নিয়ে সরব ছিলেন বিরোধী মহাজোটের অন্য নেতানেত্রীরাও। তবে ইভিএম নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। ১৫০টি বিধানসভা আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু। ওদিকে, কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, প্রত্যেক বিধানসভায় ইভিএম-এর ৫০% ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনার জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়ার আবেদন জানাবেন সুপ্রিমকোর্টে। ইভিএম-এ কারচুপি নিয়ে দেশজুড়ে প্রচার চালানোরও হুমকি দেন তিনি। রাহুল গান্ধীকে সুপ্রীমকোর্টের নোটিস ॥ ভারতের অন্যতম বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী রাফালে চুক্তি নিয়ে নানা সময়ে অযৌক্তিক ও বিতর্কিত মন্তব্য করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করায় এর জবাব চেয়ে তাকে নোটিস পাঠিয়েছে দেশটির সুপ্রীমকোর্ট। সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। এতে বলা হয়, আদালত জানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে রাহুলের মন্তব্য করা সঠিক হয়নি। আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে। সুপ্রীমকোর্ট রাফালে নিয়ে রায় দেয়ার পরও তা ভুল উদ্ধৃত করে বলেছেন, আদালত মোদিকে চোর সাব্যস্ত করেছেন। এর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। তার অভিযোগ রাহুল বলেছেন, সুপ্রীমকোর্টের মতে চৌকিদারই চোর। অভিযোগে বিজেপি নেত্রী আরও বলেন, সুপ্রীমকোর্ট সরাসরি বিষয়টি নাকচ করেছে। এর আগেও কংপ্রেস বারবার দাবি করেছে যে, রাফালে চুক্তির টাকা নিয়ে অনিল আম্বানিকে দিয়েছেন মোদি। আদালত কখনই একথা বলেনি। এই বিষয়েই রাহুলের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। মীনাক্ষী লেখির আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে বলেন, চৌকিদার চোর একথা বলেনি সুপ্রীমকোর্ট। তবে রাহুল কিভাবে এই কথা বললেন? শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে জবাব চেয়ে নোটিস দেন। সীমান্তে মিলনমেলা হলো না ॥ স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় থেকে জানান, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কারণে এ বছর নতুন বাংলা নববর্ষে পঞ্চগড়ের ৪ সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের মিলনমেলা হলো না। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) অনুমতি না দেয়ায় গত দু’দিন ধরে মিলিত হতে পারেনি দুই বাংলার নাগরিকরা। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড়ের অমরখানা, শুকানি, মাগুরমারি ও ভূতিপুকুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে দুই বাংলার নাগরিকরা মিলিত হন। এ বছরও প্রিয়জনদের একজর দেখার জন্য রবিবার ও সোমবার (দুদিন ধরে) এসব সীমান্তে হাজারো মানুষ এসে ভিড় করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অবশেষে বিকেল বেলায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরত যান।
×