ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১২ এপ্রিল ২০১৯

উবাচ

খালেদা তামাশার পাত্র স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্য কোন পথই যেন সুবিধা করতে পারছে না বিএনপি। নেত্রীর মুক্তির জন্য আইনী এমনকি রাজনৈতিক পথেও নিজেদের দুর্বলতার প্রমাণ দিচ্ছে। শীর্ষ নেতাদের অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে দলের ত্যাগী সাধারণ নেতাকর্মীদের মনে। তবে সেই প্রশ্নে রীতিমতো রসদ জোগালেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বললেন, বিএনপিই সকাল-বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ‘টেম্পারেচার কত হলো’, ‘৯৮ ডিগ্রী নাকি ৯৯ ডিগ্রী’ এগুলো বলার মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে তামাশার পাত্র বানিয়েছে’। গত সপ্তাহে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অভিযোগের জবাব দিয়ে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে, আমরা ১০ বছর আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। আমরা হুমকির মধ্যে থেকেই তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। বিএনপির আন্দোলনের হুমকি হচ্ছে খাঁচায় আবদ্ধ রোগা সিংহের গর্জনের মতো। যে গর্জনের কোন কার্যকারিতা নেই। এ গর্জনে দর্শনার্থীরা পুলকিত হয়, আর হাততালি দেয়। এ ধরনের গর্জন দিয়ে কোন লাভ হবে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে তারা বলেছে, সরকার নাকি বেগম জিয়ার প্যারোল মুক্তি নিয়ে নাটক করছে। আমি বিএনপি নেতাদের বলব, আইন-কানুন বিধিগুলো একটু ভালভাবে পড়ুন। কাউকে জোর করে প্যারোল দেয়া যায় না। যিনি প্যারোল চান, তিনিই একমাত্র আবেদন করলে প্যারোল বিবেচনার সুযোগ থাকে, অন্যথায় কোন সুযোগ নেই। সরকার কাউকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার কথা চিন্তা করছে না। বিএনপির আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করতে করতেই ইতোমধ্যে ১০ বছর চলে গেছে। কৌশল নির্ধারণ করতে আর কত দিন লাগে, এটা দেখার বিষয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপির রাজনীতি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার মধ্যে আটকে গেছে। আপনারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তামাশার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। পার্টির শক্তি বেড়েছে স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ দলের গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারার ক্ষমতাবলে ছোট ভাই জিএম কাদেরের বিষয়ে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমে পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে জিএম কাদেরকে সরিয়ে দেন এরশাদ। পরদিন সংসদ উপনেতার পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেন। কয়েকদিন পর আবারও জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান পদে বহাল করেন। সর্বশেষ এরশাদ আবারও সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে, তার অনুপস্থিতিতে জিএম কাদেরই পার্টির চেয়ারম্যান হবেন। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে দলটি যেন হাসি ঠাট্টার পাত্র হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কেউ কেউ ‘চলিতেছে সার্কাস’ বলে মন্তব্য করছেন। কিন্তু যার পদ নিয়ে এই আলোচনা এরশাদের সেই ছোট ভাই জিএম কাদের বলছেন, ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে নাকি জাতীয় পার্টির শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে! গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেছেন, স্পষ্টভাবে বলতে গেলে কারণ আমিও বুঝতে পারিনি। পার্টির সবকিছুই ভালভাবে চলছিল। একটা স্ট্যাবিলিটিও ছিল পার্টিতে। হঠাৎ করে কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো তা আমার কাছেও অস্পষ্ট। তবে আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়াটা অস্বাভাবিক ছিল, তাই পদ ফিরিয়ে দেয়াটাই স্বাভাবিক। যে কোন কারণেই হোক, আমার সহকর্মী বা যারা আমাকে অপছন্দ করছেন বা কোন কারণে আমি যাদের বিরাগভাজন হয়েছি, সেটা আমার জন্য দুঃখজনক। আমি চেষ্টা করব সেটা দূর করে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে। বারবার নেতৃত্ব পরিবর্তনের কারণে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছে এখন হাস্যকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এতে জাতীয় পার্টির ভাবমূর্তি কি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না? জি এম কাদেরের জবাব, ‘ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ণ হলেও এর যে কোন ইতিবাচক দিক নেই আমি তা মনে করি না। এগুলো হয়তো ঝট করে করা হচ্ছে কিন্তু এই পরিবর্তনের সুফলও কিন্তু পাওয়া গেছে। জাতীয় পার্টির দাবি-দাওয়া নিয়ে সারাদেশে অনেকদিন আন্দোলন হচ্ছিল না কিন্তু আমাকে যেভাবে ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করা হলো তার প্রতিবাদে সারাদেশের জনগণ সাড়া দিল। আমার বিষয়টাই যদি দেখেন, বুঝবেন জাতীয় পার্টি আবার জেগে উঠেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, আমি তাদের কাছে নেতা হিসেবে প্রিয়। যদি এই বহিষ্কার না হতো তবে সবাই মনে করত, এরশাদ সাহেব ওনার ভাইকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন। এখন কিন্তু সকল মানুষের কাছে ভিন্নধর্মী বার্তা গেছে। যোগ্যতার কারণেই জনগণ আমার জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলেছে। হয়তোবা সার্বিক ভাবমূর্তির জন্য এমন হওয়াটা ঠিক না। কিন্তু আমার জন্য এই পরিবর্তনটা মোটেও নেতিবাচক না বরং ইতিবাচক। বেয়াদব, গেট আউট- স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ায় মোকাব্বির খানের ওপর বেজায় চটেছেন বিএনপির সমর্থনপুষ্ট ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। সম্প্রতি নিজের চেম্বারে মোকাব্বিরের সঙ্গে ড. কামালের আচরণ নিয়ে শোরগোল চলছে। ড. কামাল হোসেন অনুমতি দিয়েছেন বলে প্রচার করায় মোকাব্বির খানকে ‘বেইমান’ বলে নিজের চেম্বার থেকে বের করে দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রচার করেছেন দলের নেতারাই। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর গণফোরাম থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে প্রবেশ করেছিলেন। এ সময় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘বেয়াদব, বেইমান আমার অফিস থেকে বের হয়ে যাও। আর কখনও আমার অফিসে আসবা না। গেট আউট’। এ সময় ড. কামাল হোসেন তার অফিসের কর্মচারীদের বলেন, ‘এই বিশ্বাসঘাতক বেইমানকে কখনও আমার অফিসে ঢুকতে দিবা না’। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোকাব্বির খানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবে গণফোরাম। মোকাব্বির খান গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ নেয়ার বিষয়ে গণফোরাম সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত ছিলেন না বলে দাবি নেতাদের। সংগঠন ও আদর্শবিরোধী কার্যকলাপে গণফোরাম মর্মাহত। এ বিষয়ে মোকাব্বির খান মিডিয়াতে গণফোরাম সভাপতি, সংগঠন বিষয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন দাবি করে দলটি বলছে, মোকাব্বিরের বক্তব্য অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তবে মোকাব্বিরের বক্তব্য ভিন্ন। সভাপতিসহ দলের সিদ্ধান্ত অনুসারেই শপথ নিয়েছেন বলে জানান এ সংসদ সদস্য।
×