ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গফরগাঁওয়ে বোরো ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ॥ কৃষক দিশেহারা

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ৯ এপ্রিল ২০১৯

গফরগাঁওয়ে বোরো ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ॥ কৃষক দিশেহারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ ৮ এপ্রিল ॥ গফরগাঁওয়ে ১৫টি ইউনিয়নে ৩ শতাধিক একর বোরো জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, ধান গাছগুলো পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে। কিন্তু কাছে গেলেই চোখ কপালে উঠে যায়! পাকা নয়, ধান গাছগুলো যেন পুড়ে ঝলসে গেছে। গাছের সব ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। ‘নেক ব্লাস্ট’ ঘাড় পচা রোগের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের। চাষীরা বলছেন, কৃষি অফিসের লোকজন ছয় মাসেও মাঠে আসে না। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ২২ হাজার ৮শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। গতবছর এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ২৩ হাজার ১শত ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ। এ বছর সেচ সঙ্কটসহ বিভিন্ন কারণে ৫শত ২৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ কম হয়েছে। উপজেলার পূর্ব ঘাগড়া গ্রামের মজিবর রহমান (৪৫), মোঃ কর্ণেল (৩২), সাজেদা বেগম (৫২), রতন, বুলবুল, কবিরসহ কৃষকরা বলেন, বোরো আবাদ শুরু পর থেকে কৃষি অফিসের কোন লোক মাঠে আসে না। যদিও কোনদিন তাদের সঙ্গে হাট বাজারে দেখাও হয় জমিটি দেখতে বললে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরন করে। উথুরী গ্রামের কবির মিয়া বলেন, আমি ১০ কাঠা জমি বোরো আবাদ করেছি। ১০ কাঠা জমিতে চাষ, বীজ, রোপণ, সার মজুরিসহ ৪০ হাজার টাকার ওপরে খরচ হয়েছে। বোরো খেতের ধানের যে অবস্থা তাতে মনে হয় না, ধান ঘরে তুলতে পারব। ঘাগড়া গ্রামেই নয় একই অবস্থা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের শতাধিক একর কৃষকের জমিতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা কৃষি অফিস থেকে ব্লাস্ট রোগের শর্তকীকরণের জন্য অনেক আগে থেকেই উঠান বৈঠক করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। বলেছি যারা, ২৮-বি ধান করেছেন, তাদের লিফলেট দিয়েছি। বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়েছি, তারপরও যে সকল জমিতে এ রোগ আছে, তা তদারকির জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জনবল সঙ্কট, যানবাহন সঙ্কটের কারণে ১৫টি ইউনিয়নে কৃষকদের জমি তদারকি করা সম্ভব হয় না।
×