ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী

ভুয়া সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার

প্রকাশিত: ১০:০৮, ৭ এপ্রিল ২০১৯

 ভুয়া সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফেক নিউজের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে সরকারের পাশাপাশি মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তৈরি করে তা দ্রুততম সময়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে যাতে তারা সংবাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ না হয়। সংবাদমাধ্যম-গুলোকে সত্য এড়ানোর প্রবণতা/নীরবতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে মানুষের সত্য জানার পথ যেখানে বন্ধ হয়ে যায়, ফেক নিউজের পথ চলা সেখান থেকেই শুরু হয়। যে সংবাদমাধ্যমের/প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হুবহু নকল হবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তাদেরকেই নিতে হবে। সাইট নকলের ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিষ্ঠিত হাউসের আইনী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা উচিত। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে বেসরকারী বার্তা সংস্থা ইউএনবি আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ফেক নিউজ চিহ্নিতকরণের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা উচিত। কারণ কোন প্রযুক্তিকে প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করা সমীচীন। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ফেক নিউজ তৈরি করে প্রচার করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী হিসেবে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া কোনটা নিউজ, আর কোনটা ফেক নিউজ এ সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা রাখতে হবে। আমরা আসলে কী ধরনের লিঙ্ক বা সংবাদ ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছি তা শেয়ারের আগে অন্তত কয়েকবার চিন্তা করে দেখতে হবে। কারণ, অসচেতনভাবে হলেও আমাদের শেয়ার করা একটি ফেক নিউজের কারণে যে কোন অঘটন ঘটে যেতে পারে, যার দায় আমরা এড়াতে পারব না। আর আজ আমরা সজ্ঞানে ফেক নিউজ শেয়ার করলে আগামীকাল যে নিজেরাই এর শিকার হব না, তা বলা যায় না। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু দেখেই গুজব ছড়ানো যাবে না। বরং ধৈর্য ধরে তথ্যটি নিশ্চিত হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। আর কেউ যদি মনে করেন তিনি ‘ফেক নিউজ’ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারেননি, তাহলে তার গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যমের ওপর নির্ভর করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ইনস্টিটিউিট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিসের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ্যাকাউন্টিবিলিটি এ্যান্ড ইন্টারনেট ডেমোক্রেসি বিষয়ক এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড্যান শিফেট এবং ইউএনবি’র প্রধান সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান বক্তৃতা করেন।
×